বলিউডের ‘হিরো নাম্বার ওয়ান’ খ্যাত গোবিন্দ আর হলিউডের কিংবদন্তি নির্মাতা জেমস ক্যামেরনকে নিয়ে আলোচনা চলছে। কারণ, কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ নিজেই জানিয়েছিলেন, একসময় জেমস ক্যামেরুন তার কাছে ‘অ্যাভাটার’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে শরীরে রং মাখিয়ে দীর্ঘদিন শুটিং আর হাসপাতালে পড়ে থাকার আশঙ্কায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি।
২০২৫ সালে এসে হঠাৎ করেই সেই পুরোনো গল্প নতুন করে আলোচনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হয় গোবিন্দ নাকি ‘অ্যাভাটার ৩: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ ক্যামিও চরিত্রে হাজির হয়েছেন। ছবিগুলো দেখে অনেকেই চমকে যান, কেউ কেউ তো বিশ্বাসও করে ফেলেন।
তবে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন।
এই দাবির পক্ষে কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। ছবিগুলো ভালো করে যাচাই করে দেখা গেছে, সেগুলো ফটোশপ কিংবা এআই দিয়ে তৈরি। ‘অ্যাভাটার থ্রি’ নির্মাতা সংস্থা, জেমস ক্যামেরনের টিম কিংবা গোবিন্দের পক্ষ থেকেও এমন কোনও ক্যামিওর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
ছবিগুলো ফটোশপ তৈরি জেনেও নেটিজেনদের আলোচনা থামেনি। দর্শক মূলত গোবিন্দকে নিয়ে মজা করছেন। ছবি: সংগৃহীত
ছবিগুলো ফটোশপ তৈরি জেনেও নেটিজেনদের আলোচনা থামেনি। দর্শক মূলত গোবিন্দকে নিয়ে মজা করছেন। একজন লিখেছেন, “জেমস ক্যামেরুন কীভাবে গোবিন্দকে রাজি করালেন, এটা বিশ্বাস করা কঠিন!” আরেকজন ব্যঙ্গ করে বলেন, “অবশেষে জেমস ক্যামেরনের প্রস্তাবে হ্যাঁ বললেন গোবিন্দ!” কেউ আবার স্পয়লার ট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, “স্পয়লার অ্যালার্ট: গোবিন্দের সবচেয়ে বড় কামব্যাক ‘অ্যাভাটার ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এ!”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে গোবিন্দ আবারও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। জানান, যুক্তরাষ্ট্রে জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। ক্যামেরুন নাকি ৪১০ দিনের শুটিংয়ের জন্য প্রায় ১৮ কোটি রুপি পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে পুরো শরীরে রং মেখে কাজ করতে হবে এই শর্তেই তিনি ভয় পেয়ে যান। গোবিন্দের কথায়, আমি ভেবেছিলাম, এতদিন রং মেখে কাজ করলে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে পড়তে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘অ্যাভাটার ৩’-এ গোবিন্দের উপস্থিতির খবরটি নিছকই গুজব ও অনলাইন রসিকতা।
‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ মুক্তির আগে জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তিনটি সিনেমা বিশ্বজুড়ে দর্শকের মন জয় করেছে।
অন্যদিকে, ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ মুক্তির আগে জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তিনটি সিনেমা বিশ্বজুড়ে দর্শকের মন জয় করেছে। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম ‘অ্যাভাটার’ প্যান্ডোরা গ্রহের গল্প ও অত্যাধুনিক থ্রিডি প্রযুক্তি দিয়ে সিনেমার ইতিহাস বদলে দেয়। ২০২২ সালে আসে ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’, যেখানে নাভি জাতির জীবন, পরিবার ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংঘাত আরও আবেগঘনভাবে তুলে ধরা হয়। তৃতীয় কিস্তি ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে। অত্যাধুনিক ভিজ্যুয়াল, শক্ত গল্প আর ক্যামেরনের দৃষ্টিভঙ্গিই এই সিনেমাকে এত আলোচিত করে তুলেছে।
সূত্র: দ্য ট্রিবিউন
এমকে/টিএ