শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশি পণ্য জাপানে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট-ইপিএ) সংক্রান্ত আলোচনা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির খসড়া চুড়ান্ত হয়েছে। আগামী মাসে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এর ফলে বাংলাদেশে জাপানের ৯৭টি উপখাত এবং জাপানে বাংলাদেশের ১২০টি উপখাতে সার্ভিস উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোতেগি তোশিমিৎসুর সঙ্গে টেলিফোন আলাপের সময় এ সব কথা জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ-জাপান ইপিএর প্রধান আলোচক আয়েশা আক্তার, উপপ্রধান আলোচক মো. ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ এবং ফোকাল পয়েন্ট মাহবুবা খাতুন মিনু উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে এই প্রথম বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের সঙ্গে ইপিএ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশ জাপানের বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে ৭ হাজার ৩৭৯টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
অন্যদিকে জাপান বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ৩৯টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক (আরএমজি) চুক্তির প্রথম দিন থেকেই জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। পাশাপাশি আরএমজি খাতে ‘সিঙ্গেল স্টেজ ট্রান্সফরমেশন’ সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এমকে/টিএ