নির্বাচন নিয়ে অপবাদ থেকে মুক্তি চাই, আইনের শাসন দেখিয়ে দিন : সিইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের ওপর যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, তা থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই যে একটি সঠিক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি। আর এটি সম্ভব কেবল আইনের শাসনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ডিসি-এসপি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি।

সভার শুরুতে সিইসি সম্প্রতি প্রয়াত ওসমান হাদির রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নাসির উদ্দিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আইনের শাসন কাকে বলে আমরা তা দেখিয়ে দিতে চাই। আইনের শাসন মানে আইন হবে অন্ধ। ‘ল’ (Law) সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করবেন। আপনাদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হই, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়ী থাকব।

বিগত নির্বাচনগুলো নিয়ে সমালোচনার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সামষ্টিকভাবে আমাদের ওপর দোষারোপ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছি বা ম্যানেজড ইলেকশন করছি। এই অপবাদ থেকে আমরা মুক্তি চাই। মাঠ পর্যায়ে আপনারা যারা সরকারকে সচল রাখেন, সিস্টেমটাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনাদের।

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাহস জুগিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা বুক ফুলিয়ে যখন আমাকে সাহস দেবেন, আমিও তখন সাহসী হব। আপনাদের অঙ্গীকার আমাকে সাহসী করে তোলে। আপনারা যখনই আইনের প্রতিষ্ঠার জন্য সাহসী পদক্ষেপ নেবেন, বিধি-বিধানের আলোকে কাজ করবেন- ইনশাআল্লাহ নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে থাকবে।

তিনি বলেন, আমাকে খুশি করার দরকার নেই। আপনারা আপনাদের অধীনস্থদের আইনের মাধ্যমে পরিচালনা করবেন। সিস্টেম যাতে ঠিকমতো ডেলিভারি দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্যুতি যেন না ঘটে, সেদিকে কঠোর নজর রাখতে হবে।

টিজে/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ফয়সালের সহযোগী কবিরের ফের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন Dec 23, 2025
img
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Dec 23, 2025
img
সরকার সিমকার্ড নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে Dec 23, 2025
img
আগামী বছর থেকে জাবি ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় পর্যায়ে হবে : উপ-উপাচার্য Dec 23, 2025
img
বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-বিল নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি Dec 23, 2025
img
একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন Dec 23, 2025
img
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবেন ৫০ হাজার নেতাকর্মী Dec 23, 2025
img

সিলেট-৫

জমিয়তকে আসন ছাড়, নির্বাচন ছাড়ছেন না বিএনপি নেতা মামুন Dec 23, 2025
img
১৪ ঘণ্টায় ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা সহযোগিতা পেলেন তাসনিম জারা Dec 23, 2025
img
বিএনপিতে যোগ দিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫০ জনসহ দুই শতাধিক মানুষ Dec 23, 2025
img
গানম্যান ও লাইসেন্স পাচ্ছেন ওসমান হাদির বোন Dec 23, 2025
পডকাস্টে এবার কি বললেন অভিনেত্রী Dec 23, 2025
ভিডিও ভাইরাল, সেলিব্রিটি নিরাপত্তা নিয়ে নতুন বিতর্ক Dec 23, 2025
সার্কাসের ঝলমলে মঞ্চে কিয়ারার নতুন লুক, দর্শকরা মুগ্ধ Dec 23, 2025
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খোলার পথে তাসনিয়া ফারিণ Dec 23, 2025
বাবাকে নয়, মাকে উৎসর্গ করতে চাই জীবনের প্রথম পুরস্কার: আরিয়ান খান Dec 23, 2025
থামতে জানেন না শাকিব খান, বললেন নিজেই Dec 23, 2025
img
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদের’ বিক্ষোভ Dec 23, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বিশেষ ভাতা দেবে: সালাহউদ্দিন আহমদ Dec 23, 2025
বিশ্বকাপ জিততে না পারলে জুলাইতে আমাকে ধরবেন নেইমার Dec 23, 2025