কয়েক দশকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যে যায়নি মমতাজ। ১৯৬০ এবং ৭০ এর দশকে বলিউডের সবচেয়ে প্রিয় অন-স্ক্রিন জুটি ছিলেন মমতাজ এবং ধর্মেন্দ্র।
‘লোফার (১৯৭৩)’ এবং ‘ঝিল কে উস পার (১৯৭৩)’ এর মতো হিট সিনেমায় একসাথে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়ান। কিন্তু ধর্মেন্দ্রের শেষকৃত্যে এই অভিনেত্রী অনুপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মমতাজ জানান, ‘মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে যখন ধর্মেন্দ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন মমতাজ তার সাথে দেখা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, আমি যখন হাসপাতালে তাকে দেখতে গেলাম তিনি ভেন্টিলেটরে ছিলেন। আমি কেবল তার এক ঝলক দেখতে চেয়েছিলাম। এরপর ভেতরে গিয়ে তাকে দেখলাম, শুয়ে থাকা অবস্থায়ও তাকে ভালো দেখাচ্ছিল।
ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যে যোগ না দেয়ার কারণ হিসেবে মমতাজ বলেন, ‘আমি শেষকৃত্যে যাইনি। কারন আমি তাকে প্রাণহীন দেখতে চায়নি। তার নশ্বর দেহ আমি দেখতে পারতাম না।’
হেমা মালিনী সম্পর্কে বলতে গিয়ে মমতাজ বলেন, ‘আমি তার পরিবার ও হেমাজির জন্য খুবই ব্যথিত। তিনি সর্বদা তার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তিনি অবশ্যই এই ক্ষতি খুব গভীরভাবে অনুভব করছেন। হেমা সত্যিই তাকে ভালোবাসতেন। ধর্মেন্দ্রর অভাব অপূরণীয়। তিনি এক দুর্দান্ত অভিনেতা ছিলেন।’
উল্লেখ্য, ধর্মেন্দ্র ২৪ নভেম্বর ৮৯ বছর বয়সে অনন্ত যাত্রায় পাড়ি জমান।
আরপি/এসএন