দেশের বাজারে সবশেষ ১০ দফা সমন্বয়ের মধ্যে ৮ বারই বেড়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে সবশেষ টানা ৩ দফায় বাড়ানো হয়েছে মোট ৮৮৬ টাকা।
সবশেষ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে টানা ৩য় দফা রুপার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১৭৫ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজার রুপার মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রুপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের রুপার দাম পড়বে ৫ হাজার ১৩২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৮৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ১৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৪৯ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, রুপার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে সবশেষ চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বর সমন্বয় করা হয়েছিল রুপার দাম। সে সময় ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৩৮৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৭২৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৩ টাকা। যা কার্যকর হয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর থেকে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১২ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৯ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।
আরও পড়ুন: ফের দাম বেড়ে দেশে স্বর্ণের নতুন ইতিহাস, ভরি কত?
এদিকে, ভরিতে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮২ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৬৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৮৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৬২ বার, আর কমেছে মাত্র ২৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
আরআই/টিএ