বঙ্গোপসাগর থেকে ১৩ জন বাংলাদেশি জেলেসহ দুইটি মাছ ধরার নৌকা ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের কাছে বঙ্গোপসাগরে এই ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ১৩ জন মৎসজীবীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) ও কোস্টগার্ডকে জানানো হয়েছে, তারা খতিয়ে দেখছেন। আটক মৎসজীবীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গণি জানান, মাছ ধরার দু’টি বাংলাদেশি নৌকা মঙ্গলবার আলাদা সময়ে সাগরে মাছ শিকার শেষে তীরে ফিরছিল, আরাকান আর্মি এ সময় ১৩জন মৎসজীবীসহ নৌকাগুলো ধরে নিয়ে যায়।
১৩ জনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ(৬০), হামিদ হোসেন(৪৫), মো. হামপুরো(১৫), জসিম উদ্দিন(১৮), হারুন মিয়া(৪০) ও শামলাপুরের মো. হাবিবুল্লাহ(৬০)।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক নিউজ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী অবৈধ মাছ ধরার নৌকা প্রতিরোধে মঙ্গলবার ভোরে আরকান আর্মি সমুদ্র টহলে বের হয়। সকাল ৯টার তারা মংডু টাউনশিপের মিয়ান হ্লুট খালের প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ছয়জন মৎসজীবীসহ একটি বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা আটক করে। এছাড়া দুপুর পৌণে ১২টার দিকে কিয়াউক পান্ডু এলাকা থেকে সাতজন জেলেসহ আটক করে আরেকটি নৌকা।
আরাকান আর্মির দাবি, আটক মৎসজীবীরা তাদের আঞ্চলিক জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের নাফ নদী ও সংলগ্ন সাগর মোহনায় মাছ ধরার সময় ৯ জন বাংলাদেশি মৎসজীবীকে আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
বিজিবির তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিক মৎসজীবী ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি যার মধ্যে দুই শতাধিক ফিরলেও বাকিরা এখনো তাদের হাতে বন্দি।
এমআর