হঠাৎ করেই মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ আহমেদের মৃত্যুর খবর। তবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরও এ বিষয়ে ধারণা নেই।
এ বিষয়ে জানতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিয়াজের ঘনিষ্ঠ একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমনটা হওয়ার কথা না। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। এমন কিছু হয়ে থাকলে এতক্ষণে তোলপাড় হয়ে যেত।’
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান রিয়াজ। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কেউই জানেন না। গুঞ্জন রয়েছে, পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আবার কেউ বলছেন, দেশেই আছেন কোথাও। রিয়াজের ব্যবহৃত নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।
শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশ সরব ছিলেন রিয়াজ। বেশ কয়েকবার তাকে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হতেও দেখা গেছে।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে টানা দুই যুগ রিয়াজ ছিলেন ঢালিউডের শীর্ষ জনপ্রিয় মুখ। ‘বাংলার নায়ক’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। এরপর একে একে অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রিয়াজ অভিনীত সর্বশেষ ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এরপর আর নতুন কাজে তার দেখা মেলেনি।
আইকে/টিএ