গাজীপুরের শ্রীপুরে মো. ফরিদ সরকার (৪১) নামের এক জাসাস (জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা) নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামে কেবিএম ব্রিকস (ইটভাটা) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ফরিদ সরকার গোসিংগা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে। তিনি কেবিএম ব্রিকস ইটভাটা কারখানায় মাটি সরবরাহের কাজ করতেন।
এ ছাড়া তিনি গোসিংগা ইউনিয়ন জাসাসের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ফরিদ সরকার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ইটভাটার কাছে ফরিদ সরকারের ওপর চারজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হামলা চালায়।
এ সময় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় ভয়ে ইটভাটার দুই কর্মচারী জাকির ও মিনারুল ঘরের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। তারা বাইরে বের না হয়ে কেবল চিৎকারের শব্দ শুনতে পান। হামলার পর ইটভাটার লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে ফরিদকে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে ইটভাটার ম্যানেজার প্রদীপ সরকার স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজ মেম্বার ও খোরশেদ আলমকে বিষয়টি জানালে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে ফরিদ সরকারকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রথমে ফরিদকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত ও ইটভাটার কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহমদ জানান, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।