বাংলা চলচ্চিত্রে দীর্ঘ সময় ধরে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এবার বড়পর্দায় নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি—ঐতিহাসিক চরিত্র চৈতন্যদেবের রূপে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে চৈতন্যদেবের জীবন তিনটি ভাগে দেখানো হবে। এতে ইন্দ্রনীলকে ভিন্ন রূপে দেখা যাবে, কখনও কাঁধছোঁয়া চুল, কখনও মুণ্ডিতমস্তক রূপে।
এই ছবিতে ইশা সাহা পরিচালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং ইন্দ্রনীলের বিপরীতে তাঁকে নির্দেশ দিচ্ছেন। অভিনেতা জানান, “ইশা সৃজিতকে নকল করেননি, বরং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী অভিনয় করেছেন।”
এক মজার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন ইন্দ্রনীল। তিনি সাঁতার জানেন না, কিন্তু সমুদ্রের গভীরে ঢুকে শট দেওয়ার সময় তা বুঝতে পারেননি। শুটিং শেষে জানতে পারেন, পায়ের নীচে মাটি নেই।
ইন্দ্রনীল-ইশার আগে ‘তরুলতার ভূত’ ছবিতে জুটি বাঁধার কারণে তাঁদের সম্পর্ক নিয়েও গুঞ্জন থাকলেও ইন্দ্রনীল বলেছেন, “চিত্রে জুটি বাঁধতে নায়ক-নায়িকার প্রেম থাকা আবশ্যক কি না, তা জানি না। অভিনয় চরিত্রের জন্যই করা হয়।”
অভিনেতা বলেন, “প্রত্যেক চরিত্র যেন দর্শকের মনে অমর হয় এই ভাবনা নিয়ে কাজ করি। চৈতন্যদেবের চরিত্রে পড়াশোনা করতে আমাকে পরিচালকই নিষেধ করেছিলেন, তাই এতে কোনো প্রভাব পড়েনি।”
শুটিংয়ের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি আমেরিকায় একটি ওয়েব সিরিজের কাজেও ব্যস্ত। তবে বড়দিনের ছবিমুক্তিতে উদ্যাপন করতে পারছেন না। ইন্দ্রনীলের লক্ষ্য—ভাল চরিত্র বেছে নিয়ে দর্শকের মনে ছাপ ফেলা।
এমকে/টিএ