নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেছেন, আমি বিএনপির প্রার্থী, জমিয়তে ইসলামের প্রার্থী। বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে ধানের শীষ ও খেজুর গাছ একাকার। খেজুর গাছের মধ্যেই ধানের শীষ খুঁজে নিতে হবে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার চৌধুরী বাড়ি এলাকায় ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান।
মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আর আমি একই আদর্শের সৈনিক। আমি ইসলামের আদর্শে বিশ্বাসী, আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী। বিএনপিও একই ধারায় বিশ্বাসী। সে কারণেই আলেম-ওলামারা বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন। আমরা বিএনপির সঙ্গে একাকার হয়ে আছি।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই আমি এখানে এসেছি। তাই আমি বিশ্বাস করি, আপনারা ১২ তারিখে খেজুর গাছ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। এখানে ভিন্ন কিছু ভাবার সুযোগ নেই।
সভায় নেতাকর্মীদের দাবির মুখে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, আজকের এই উপস্থিতিই প্রমাণ করে তিনি কতটা জনপ্রিয়। আমি বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনা করব।
সভাপতির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, দলের দুঃসময়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। নানা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাঠে ছিলাম। এবারও বিএনপি জোট থেকে নির্বাচন করছি।
তিনি বলেন, মনির হোসেন কাসেমী মানেই ধানের শীষ, মনির হোসেন কাসেমী মানেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মনোনীত প্রার্থী। হাসিনা সরকারের পতন হলেও এখনও পূর্ণ স্বাধীনতা আসেনি। তাই আগামী নির্বাচনে মনির হোসেন কাসেমীকে নির্বাচিত করতে হবে।”
দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়ে রিয়াদ আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ১৭ বছর ধরে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এখন দলের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। মুফতি মনির হোসেন কাসেমীই বিএনপির প্রার্থী। দলের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান বক্তা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, অনেকে বলছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। ভুল করবেন না। মনির হোসাইন কাসেমীকে ছোট খেলোয়াড় ভাববেন না। তিনি ২০১৮ সালে যেভাবে মনোনয়ন এনেছিলেন, এবারও সেভাবেই এনেছেন। বিএনপি তাকে মূল্যায়ন করেছে। তার প্রতীক কী-তা নিয়ে ভাবার সময় নেই।
সভায় আরও বক্তব্য দেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি সুমন আকবর, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক টিপু, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, কৃষক দলের আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, তাঁতি দলের সভাপতি ইউনুস মাস্টারসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক মিলন ঢালী, কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোসলেম উদ্দিন মুসা, সদস্য সচিব সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ইব্রাহিম, তাতি দলের সদস্য সচিব ইমনসহ ফতুল্লা থানা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন-ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এসকে/টিকে