তারেক রহমানের গণসংবর্ধনায় যোগ দিতে যশোর স্পেশাল ট্রেন ভরে ঢাকায় গেছেন যশোরের বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টা ৮ মিনিটে যশোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশেষ এই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে এই ট্রেনে নেতাকর্মীরা ঢাকায় পৌঁছাবেন। এরপর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা যোগদিবেন সংবর্ধনা স্থলে। এই যাত্রাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, জেলার ৮টি পৌরসভা ও ৯৩টি ইউনিয়ন থেকে বাস, মাইক্রোবাস এবং নিজস্ব যানবাহনে করে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ইতিমধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সর্বশেষ রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বিশেষ ট্রেনে সহস্রাধিক লোক ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। ট্রেনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যান বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জায়গা না পেয়ে ট্রেনের বগির মেঝেতে বসে পড়েন। কেউ ছিলেন দাঁড়িয়ে। আর কিছুক্ষণ পর পর তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো ট্রেন।
নেতারা বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নেতার আগমনে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। তাকে এক নজর দেখতে এবং সংবর্ধনা দিতে যশোরের প্রতিটি কোণ থেকে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা ঢাকায় ছুটছেন। সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রেখে এই সফর সফল করতে চান তারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, এ ধরনের সাড়া অতীতে আমরা কখনও পাইনি। অন্যান্য সময়ে যে পরিমাণ লোক আমাদের কর্মসূচিতে আসত, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি লোকের সমাগম হতে পারে ঢাকায়। দীর্ঘ ১৭–১৮ বছর পর তারেক রহমানকে দেশের মানুষ কাছে পাবেন। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ খুশিতে আত্মহারা। তারেক রহমান দেশে না থাকলেও নেতাকর্মীদের কাছাকাছি ছিলেন। অনলাইনে তার বক্তব্য শুনেছেন। এখন সবাই স্বচক্ষে দেখবেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সারা দেশের মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে সারাদেশে ১০টি রুটে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে যশোর-ঢাকা রুটটি অন্যতম।
এমআর/টিএ