বড়দিন ও সাপ্তাহিকসহ ৩ দিনের টানা ছুটিতে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে ভিড় জমিয়েছে লাখো পর্যটক। সৈকতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই অবস্থা। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কেউ সৈকতের বালুকাবেলায় বসে, কেউ বা সাগরের ফেনিল ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে মেতে আছেন অবকাশযাপনে।
আবার কেউ বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে সাগর পারের মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী, রুপসী গোয়ালিয়ার পাহাড় ও পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকতে অতিবাহিত করছেন আনন্দমুখর সময়।
এদিকে টানা ছুটিতে এক সঙ্গে একই স্থানে পর্যটকের ভিড় বেড়ে যাবার সুযোগে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে ‘গলাকাটা’ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার সাগর পারের যেসব হোটেল-মোটেলগুলোর কক্ষ ভাড়া ছিল দৈনিক ২/৩ হাজার টাকা, সেসবে এখন দাবি করা হচ্ছে তিনগুণেরও বেশি ভাড়া।
এ কারণে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসা ভ্রমণকারীদের অনেকেই ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। অনুরূপ খাবার হোটেলগুলোতেও অতিরিক্ত দাম আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অনেক পর্যটক ৩ দিনের বাজেট নিয়ে বেড়াতে এসে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে গিয়ে একদিনের পরই আবার নিজ গন্তব্যে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।
বড়দিন উপলক্ষে শহরের অভিজাত হোটেলগুলোতে আয়োজন ছিল নানা অনুষ্ঠানেরও। উৎসবের আমেজ তৈরি করতে তারকামানের হোটেলগুলো সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।
তারকা হোটেলগুলোসহ শহরের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে আগামী থার্টি ফাস্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষ পর্যন্ত। বিদায়ি বছরের শেষ দিন থার্টি ফাস্ট এবং নববর্ষে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকনে ছুটে আসেন প্রচুরসংখ্যক পর্যটক। পর্যটন ব্যবসায়ীরা এবারও আশা করছেন এরকম পর্যটকের ভিড়। সেই সঙ্গে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা চলতি পর্যটন মৌসুমে শত কোটি টাকার বাণিজ্যেরও সম্ভাবনা দেখছেন।
টানা ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের ভিড়ের কারণে ভ্রমণকারীদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি হয়রানি প্রতিরোধে নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে টুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রথম এবং মুখ্য কাজ হচ্ছে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সে লক্ষ্যে নিয়মিত তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে টুরিস্ট পুলিশ। পর্যটক হয়রানি দমনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি জানান, কোনো পর্যটককে হয়রানি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত হেল্পলাইন- ০১৩২০১৬০০০০ নাম্বারে যোগাযোগ করলে টুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আইকে/টিএ