এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় স্পিন নির্ভরতা নাথান লায়ন। চোট নিয়ে তিনি দল থেকে ছিটকে পড়ায় ভিন্ন কোনো স্পিনারের ওপর আস্থা রাখেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সময় আজ ভোর সাড়ে ৫টায় শুরু হয়ে যাওয়া টেস্টে কোনো স্পিনার না রেখেই একাদশ সাজিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চার পেসার নিয়ে খেলতে নেমে চোখে সর্ষেফুল দেখছে অস্ট্রেলিয়া।
এক দিন আগেই গতকাল অ্যাশেজের বক্সিং ডে টেস্টের দল দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চূড়ান্ত দলে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার। চোট নিয়ে দলের বাইরে চলে যাওয়ায় যদি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাঁর বিকল্প হিসেবে টড মারফিকে স্কোয়াডভুক্ত করেছিল, কিন্তু তাঁকে ছাড়াই মাঠে নামার সিদ্ধান্তের কথা জানান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তবে একাদশ ঘোষণা করেছে আজ ম্যাচের দিন। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫২ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এই টেস্টে খেলছেন না নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। যদিও তাঁর কোনো চোট নেই। কিন্তু চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই আগের অ্যাডিলেড টেস্টে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। সামনে আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে তাঁকে লাগাতার খেলিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট।
চূড়ান্ত দলে বিশেষজ্ঞ কোনো স্পিনার না রাখার কারণ হিসেবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সবুজ উইকেটের কথা বলছে স্বাগতিকদের টিম ম্যানেজমেন্ট। স্মিথ বললেন, ‘আমরা চারজন পেসার খেলাব, কোনো স্পিনার নয়। উইকেটে প্রায় ১০ মিলিমিটার ঘাস-খুবই সবুজ। প্রথম দিনের আবহাওয়া যদি আজকের মতো ঠান্ডা ও মেঘলা থাকে, তাহলে সুইং-সিম-দুটোই থাকবে।’
এর সেই আশাতেই চার পেসার নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত। স্টিভ স্মিথ বলে গেলেন, ‘সপ্তাহজুড়ে আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস, তাতে এই উইকেট সিমারদের ভালো সহায়তা দেবে।’ বোলিংয়ে মিচেল স্টার্কের নতুন বলের সঙ্গী স্কট বোল্যান্ড। অপর দুই পেসার হলেন মাইকেল নেসার ও ঝাই রিচার্ডসন।
ডগেট ও নেসার ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট খেললেও কামিন্স ও লায়ন ফেরায় অ্যাডিলেডে জায়গা হারান। তিনবার কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর চার বছরে প্রথমবার স্কোয়াডে ফিরেছেন রিচার্ডসন। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তৃতীয় টেস্ট মিস করা স্মিথ ৪ নম্বরে ফিরেছেন। অ্যাডিলেডে তাঁর জায়গায় খাজা ব্যাট করে ৮২ ও ৪০ রান করেন; এবার অ্যালেক্স ক্যারি ও ক্যামেরন গ্রিনের আগে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছেন খাজা। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৯ রান তিনিই করেছেন।
অসুস্থতা কাটিয়ে তিনি এখন পুরোপুরি ফিট জানিয়ে স্টিভ স্মিথ বলেন, ‘অ্যাডিলেডে প্রথম দুই দিন হোটেল থেকে দেখছিলাম-খেলতে না পারার আক্ষেপ ছিল। তবে তখন সিদ্ধান্তটা সঠিকই ছিল, কারণ আমি সত্যিই কষ্টে ছিলাম।’
আরআই/এসএন