ভারতীয় সিনেমা আবার একবার ইতিহাসের দোরগোড়ায়। ‘পুষ্পা’ ঝড়ের পর এবার আরও বড়, আরও সাহসী এক যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আল্লু অর্জুন। এই অভিযানে তাঁর সঙ্গী ফের সেই পরীক্ষিত স্রষ্টা ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। দু’জনের চতুর্থ যৌথ কাজ হিসেবে যে ছবি আসতে চলেছে, তা কোনও সাধারণ বাণিজ্যিক সিনেমা নয়, বরং পৌরাণিক আবহে নির্মিত এক বিশাল ক্যানভাসের মহাকাব্য।
শোনা যাচ্ছে, এই ছবিকে ঘিরে নির্মাতাদের পরিকল্পনা একেবারে বিশ্বমুখী। হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজেটে তৈরি হতে চলা এই প্রজেক্টকে সাজানো হচ্ছে প্যান ইন্ডিয়া নয়, সরাসরি আন্তর্জাতিক দর্শকের কথা ভেবেই। দেবলোকের কাহিনি, মহাকাব্যিক সংঘর্ষ, গভীর দর্শন আর আধুনিক ভিজ্যুয়াল প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এক নতুন সিনেমাটিক জগৎ গড়ে তুলতে চান ত্রিবিক্রম।
আল্লু অর্জুন ও ত্রিবিক্রমের জুটি এর আগেও একাধিকবার সাফল্যের ইতিহাস লিখেছে। সেই জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় এবার তাঁরা পা রাখতে চলেছেন পৌরাণিক ঘরানায়। এই ছবির চিত্রনাট্য প্রথম থেকেই আল্লু অর্জুনকে ভেবেই লেখা হয়েছিল। মাঝপথে অন্য অভিনেতার হাতে গেলেও শেষ পর্যন্ত গল্পটি ফিরে এসেছে নিজের ঘরে। এই ফিরে আসার মধ্যে যেমন আবেগ রয়েছে, তেমনই রয়েছে সৃষ্টিশীল জেদ।
‘পুষ্পা’র পর আল্লু অর্জুনের তারকাখ্যাতি যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তার প্রতিফলন মিলছে এই ছবির প্রস্তুতিতেই। পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে প্রযোজনার পরিসর, সব ক্ষেত্রেই বাজি ধরা হচ্ছে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে। নির্মাতাদের বিশ্বাস, পৌরাণিক চরিত্রে আল্লু অর্জুনের উপস্থিতি দর্শকের সামনে এক সম্পূর্ণ নতুন রূপ তুলে ধরবে।
ছবির গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে থাকবে অত্যাধুনিক ভিজ্যুয়াল এফেক্ট। দেবতা, যুদ্ধ, অলৌকিক মুহূর্ত আর দর্শন, সব মিলিয়ে এক বিশাল জগত নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। জানা যাচ্ছে, শুটিং শুরু হওয়ার সম্ভাব্য সময় দুই হাজার সাতাশ সালের শুরুতে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে উত্তেজনা ইতিমধ্যেই তুঙ্গে।
সব মিলিয়ে এই ছবি শুধুই আরেকটি বড় বাজেটের প্রজেক্ট নয়। আল্লু অর্জুনের ক্যারিয়ারে এটি হতে চলেছে এক নতুন অধ্যায়, আর ভারতীয় সিনেমার জন্য এক সাহসী সাংস্কৃতিক মুহূর্ত, যার দিকে তাকিয়ে থাকবে গোটা দুনিয়া।
আইকে/টিকে