বিগ ব্যাশে রিশাদ হোসেনের সতীর্থ টিম ডেভিডের এবারের আসর শেষ বলাই চলে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান। শুক্রবার পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পান ডেভিড। রান নিতে গিয়েই হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে তার। এর আগে ২৮ বলে ৪২ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন তিনি। হোবার্ট হারিকেন্সের জয় তখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। চোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন ডেভিড। আর ফিরতে পারেননি ম্যাচে। এটি চলতি বছরে ডেভিডের দ্বিতীয় হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। আগেরবার চোট পেয়েছিলেন আইপিএলের শেষ দিকে। সেই সময় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আর খেলতে পারেননি। প্রায় দুই মাস মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। এবার চোটটা আরও দুশ্চিন্তার, সময়টা বিশ্বকাপের কাছাকাছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি দেড় মাসেরও কম।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে এখন অপরিহার্য নাম টিম ডেভিড। এ বছর চার নম্বরে নেমে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। স্ক্যানের পর বোঝা যাবে চোটের প্রকৃত অবস্থা। তাতেই নির্ধারিত হবে তার মাঠে ফেরার সময়।
ম্যাচ শেষে অনিশ্চয়তার কথা নিজেই স্বীকার করেন ডেভিড। তিনি জানান, চোট বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে চাননি। ডেভিড বলেন, ‘দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় কিছু একটা অনুভব করি। খুব আদর্শ কিছু নয় তা। চাইনি ক্রিজে থেকে তা আরও বাজে হোক। বিশ্বাস ছিল, ছেলেরা বাকি কাজটুকু করতে পারবে। অপেক্ষা করছি (স্ক্যানের জন্য), দেখা যাক কী হয়।’
হোবার্ট হারিকেন্সের জন্য বড় ধাক্কা ডেভিডের অনুপস্থিতি। দলের অধিনায়ক ন্যাথান এলিস তেমনটাই মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশ কজনের চোখ যে বিশ্বকাপেও আছে, সেটা স্বীকার না করলে মিথ্যে বলা হবে। সবকিছুর আগে, সতীর্থ হিসেবে আমি স্রেফ বিধ্বস্ত যে, হারিকেন্সের কিছু ম্যাচে তাকে পাব না। আশা করি, সে সবকিছু ঠিকঠাক করবে এবং সম্ভব হলে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে ফিরবে এবং এরপর বিশ্বকাপেও তাকে পাওয়া যাবে।’
জাতীয় দলের জন্যও ডেভিডের চোট বড় দুশ্চিন্তার। চার নম্বরে তার ভূমিকা এখন অস্ট্রেলিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০ ইনিংসে ৩৯৫ রান করেছেন ডেভিড। স্ট্রাইক রেট প্রায় ২০০, গড় প্রায় ৫০। সব মিলিয়ে এ বছর টি-টোয়েন্টিতে তার রান ১ হাজার ২০৩।
আরআই/টিএ