যদি স্থায়ীভাবে শয্যাশায়ী হয়ে যান, তবে কি হবে- এমন দুঃশ্চিন্তা চেপে বসেছিল বলিউডি অভিনেতা সাইফ আলী খানের মনে। মুম্বাইয়ে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পরে এম্ন চিন্তা তাড়া করে বেড়িয়েছিল তাকে।
চলতি বছরের শুরুতে নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ। হামলায় তার মেরুদণ্ডের একটি অংশের কাছে ঢুকে যায় ছুরির ফলা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন সাইফ।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি তাকে বদলে দিয়েছে কী না- এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফ বলেন, “ঘটনাটি আমাকে গভীর কৃতজ্ঞতার অনুভূতি শিখিয়েছে।”
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অস্ত্রোপচার শেষে সাইফের মেরুদণ্ডের খুব কাছ থেকে ছুরির আড়াই ইঞ্চির ভাঙা অংশ মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা বের করেছিলেন। সে সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল, সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম থেকে ২ মিলিমিটার দূরে ছুরিকাঘাত করা হয়। সাইফ ভাগ্যবান। ওই ছুরিটি যদি মেরুদণ্ডের কাছের ওই জায়গায় আর মাত্র ২ মিলিমিটার ঢুকে যেত, তাহলে তার আঘাতের ভয়াবহতার কোনো সীমা থাকত না। অস্ত্রোপচারে ছুরির ভাঙা অংশ বের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইফ বলেন, “কিছুক্ষণ পায়ে অনুভূতি হারিয়েছিলাম। চিরকাল বিছানায় শুয়ে থাকা বা অঙ্গহানির ভয় চেপে বসাটাও ভয়ংকর। এই দুঃশ্চিন্তাও অস্থির করে দেয়।”
বর্তমানে পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে সচেতন হয়েছেন অভিনেতা। সাইফ নিজে এবং পরিবারের সদস্যরা চলাফেরা করছেন নিরাপত্তাকর্মী বেষ্টিত অবস্থায়।
সাইফকে শেষবার দর্শকরা পেয়েছেন নেটফ্লিক্সের ‘জুয়েল থিফ’ সিনেমায়। কিছুদন হল তিনি হরর-থ্রিলার সিনেমা ‘হাইওয়া’র শুটিং শেষ করেছেন। এই সিনেমাটি ‘ওপ্পাম’ সিনেমার রিমেক, যা মুক্তি পাবে আগামী বছর; এতে সাইফের সঙ্গে রয়েছেন অক্ষয় কুমার, সাইয়ামি খের, শ্রেয়া পিলগাঁওকর।
কেএন/টিএ