প্রায় ১০ মাস আগে নটিংহ্যাম ফরেস্টের মাঠে তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির। এবারও লড়াই হলো বেশ। পয়েন্ট হারানোর শঙ্কাও হয়তো জেগেছিল দলটির। তবে শেষ দিকে রায়ান শের্কির দারুণ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল পেপ গার্দিওলার দল।
বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে ফিরে শনিবার দি সিটি গ্রাউন্ডে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তারা এগিয়ে গিয়েছিল টিয়ানি রেইনডার্সের গোলে।
লিগে টানা ষষ্ঠ জয়ের পর ১৮ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট হলো ৪০। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল দিনের পরের ম্যাচে ব্রাইটনকে হারালেই ফের সিটিকে টপকে যাবে।
প্রিমিয়ার লিগে ফরেস্টের বিপক্ষে আগের ম্যাচের স্মৃতি সুখকর ছিল না সিটির, গত মার্চের সেই ম্যাচে তারা হেরেছিল ১-০ গোলে। কষ্টে হলেও সেই হতাশায় এবার প্রলেপ দিতে পারল পেপ গার্দিওলার দল।
বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রেখে বারবার আক্রমণে উঠল সিটি। ফরেস্টের জমাট রক্ষণের সামনে প্রথমার্ধে যদিও তেমন সুবিধা করতে পারল না তারা; গোলের জন্য ছয়টি শট নিয়ে একটিও রাখতে পারল না লক্ষ্যে।
পুনরায় খেলা শুরু হতেই ভেঙে যায় ফরেস্টের বাধা। ৪৮তম মিনিটে রায়ান শের্কির থ্রু বল ডি-বক্সে ধরেই প্লেসিং শটে সিটিকে এগিয়ে নেন ডাচ মিডফিল্ডার রেইনডার্স।
প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার।
এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি সিটির। ৫৪তম মিনিটে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে নিচু শটে সমতা টানেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ওমারি হাচিনসন। ফরেস্টের জার্সিতে এটাই তার প্রথম গোল।
এরপর আক্রমণে চাপ ধরে রাখলেও, দ্বিতীয় গোল আর পাচ্ছিল না সিটি। শের্কির নৈপুণ্যে অবশেষে তাদের শঙ্কার মেঘ কেটে যায়।
৮৩তম মিনিটের গোলটিতে দারুণ ভূমিকা আছে ইয়োশকো ভার্দিওলেরও। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল তিনি নিখুঁত হেডে পাঠান শের্কির কাছে, ছুটে এসে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি মিডফিল্ডার।
চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে গোলটি কতটা কাঙ্ক্ষিত ছিল, ডাগআউটে পেপ গার্দিওলা ও তার সহকারীদের উচ্ছ্বাসেই তা ফুটে ওঠে। পরের ম্যাচে নতুন বছর শুরুর দিনে তারা খেলবে সান্ডারল্যান্ডের মাঠে।
এমআর/টিকে