যে ছন্দ নিয়ে আসর শুরু করেছিল চেলসি, বর্তমানে তারা সেই অবস্থানে নেই। বিশেষ করে ডিসেম্বরে সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচে তাদের জয় স্রেফ দু’টি, বাকি তিনটিতে হার ও দুটি ড্র। এবার ঘরের মাঠে মেন ইন ব্লুরা অ্যাস্টন ভিলার কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধে তাদেরই আধিপত্য ছিল, পিছিয়ে পড়েও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ভিলা। একইসঙ্গে স্পর্শ করেছে নিজেদের ১১১ বছরের পুরোনো এক রেকর্ড।
গতকাল (শনিবার) প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অ্যাস্টন ভিলাকে আতিথ্য দিতে নামে চেলসি। যেখানে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা, ৬২ শতাংশ পজেশনের পাশাপাশি ১৫ শটের মধ্যে তারা ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বিপরীতে ১২ শটের মধ্যে ৯টি লক্ষ্যে ছিল ভিলার। যদিও তারা ৩৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে চেলসির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রোর গোলে। এরপর ওলি ওয়াটকিন্স জোড়া গোলে তাদের উদ্ধার করেছেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিক চেলতি একের পর এক আক্রমণে ভিলাকে তটস্থ করে রাখে। যেখানে প্রথমার্ধে তারা ১০টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখে, একই সময়ে ভিলা লক্ষ্যে রাখতে পারেনি কোনো শটই। এরই মাঝে ৩৭ মিনিটে রিচ জেমসের দারুণ কৃতিত্বে গোলের সুযোগ পেয়ে যান জোয়াও পেদ্রো। ইংলিশ ডিফেন্ডারের বাঁক নেওয়া কর্নারে গোলমুখে কয়েকজনের মাঝখান দিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পা স্পর্শ করে ভিলার জালে জড়ায়। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সেটি বাঁচানোর সুযোগই মেলেনি।
বিরতির পর জ্বলে ওঠে অ্যাস্টন ভিলা। গোল পেতে মরিয়া দলটি বদলি নামানো ওলি ওয়াটকিন্সের গোলে গোলে ৬৩ মিনিটে ম্যাচে ফেরে। এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড সতীর্থের বাড়ানো পাস ধরে শট নেন, যা আগুয়ান গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ভিলার জালে জড়ায়। একের পর আক্রমণ ধরে রেখে ৮৪ মিনিটে লিডও পেয়ে যায় সফরকারীরা। ওয়াটকিন্স এবার গোলটি করেন কর্নারে উড়ে আসা বলে হেড দিয়ে। তাতেই চেলসির ২-০ ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয়ে যায়।
এ নিয়ে এবারের প্রিমিয়ার লিগে টানা অষ্টম ম্যাচ জিতল ভিলা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সেই সংখ্যাটি ১১, ১১১ বছর আগে তারা সমানসংখ্যক টানা ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়েছিল। কেবল তাই নয়, প্রিমিয়ার লিগেও এবার তারা শীর্ষ তিনে অবস্থান ধরে রেখেছে শক্তভাবেই। ১৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৯। সমান ম্যাচ খেলে শীর্ষ দুইয়ে যথাক্রমে আর্সেনাল (৪২) ও ম্যানচেস্টার সিটি (৪০)। লিভারপুল চারে আছে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে।
আরআই/টিএ