হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েছে পাহাড়ি হিম শীতল বাতাসের তীব্রতা। কনকনে শীতে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে জেলা জুড়ে। গত দুদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জেলার নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কনকনে শীতে বাজারগুলোতে কমেছে মানুষের উপস্থিতি।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গেছে। প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজনকে উষ্ণতা পেতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় কাগজ ও খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রির ঘরে উঠানামা করলেও, রোববার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় পঞ্চগড় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। একই সাথে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার।
পুরাতন পঞ্চগড়ের ধাক্কা মারা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাই দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। কনকনে হিম বাতাস অনুভব হচ্ছে। এতে কাজ করতে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে।’
রিকশাচালক জয়নুল হক দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজকে কুয়াশা অনেকটাই কম। তবে ঠান্ডা বাতাস খুবই বেশি। এর কারণে গাড়ি চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে, সাথে ঠান্ডার কারণে যাত্রীও নাই।’
এদিকে ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ায় গৃহস্থালির কাজেও বিপাকে পড়ছেন জেলার নারীরা। তারা বলছেন, ঠান্ডার কারণে পানি নাড়তে গিয়ে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও, আজ তা বেড়ে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কিছুটা কমে গিয়েছে। তবে অব্যাহত রয়েছে ঠান্ডা বাতাসের পরিমাণ।’
কেএন/টিকে