ব্রিটিশ মডেল ও অভিনেত্রী লিজাবেথ হার্লি সাবেক বাগদত্তা ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের আকস্মিক মৃত্যুর পর মানসিক ক্ষতির কথা আবেগঘন ভাষায় প্রকাশ করেছেন। ‘কিং অব স্পিন’ খ্যাত ওয়ার্ন ২০২২ সালে থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫২ বছর বয়সে মারা যান।
৬০ বছর বয়সী হার্লি ২০১০ সালে ওয়ার্নের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তখন তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ী অরুণ নায়ারের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন।
এক বছর পর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করার পর হার্লি ও ওয়ার্নের বাগদান হয়। তারকাবহুল এই সম্পর্কটি ২০১৩ সালে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে শেষ হলেও, একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা অটুট ছিল।
মৃত্যুর চার বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ন বলেছিলেন, হার্লির সঙ্গে কাটানো সময়ই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে সুখের অধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এলিজাবেথকে কতটা ভালোবাসতাম, তা আমি নিজেই বুঝতে পারিনি।
আমাদের ভালোবাসাকে আমি খুব মিস করি। এলিজাবেথের সঙ্গে কাটানো বছরগুলোই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়।’
ওয়ার্নের মৃত্যুর পর হার্লি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছিলেন, তিনি ছিলেন তার ‘প্রিয় সিংহহৃদয়’ এবং ‘আমার পরিচিত সেরা মানুষদের একজন।’ হার্লির পরিচালক-পুত্র ড্যামিয়ান হার্লিও আবেগঘন বার্তায় জানান, তার হৃদয় ভেঙে গেছে এবং শৈশব-কৈশোরের বড় একটা সময় ওয়ার্ন ছিলেন তার কাছে বাবার মতো একজন মানুষ।
পুত্রের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘Strictly Confidential’-এর প্রচারে দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্লি বলেন, ‘আমরা বড় একটি ক্ষতির ভেতর দিয়ে গেছি। এই ছবিটিও সেই শোকের অনুভূতিকে টেনে আনে, ড্যামিয়ানের অনেক কাজেই আমি সেই প্রভাব দেখি। শেনকে হারানো ছিল ভয়াবহ; এমন এক দুঃখ, যা দীর্ঘদিন সঙ্গে থাকে।”
গত বছরের নভেম্বরে হার্লি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ওয়ার্নের পরিবারের সঙ্গে আবেগঘন পুনর্মিলনে অংশ নেন। ট্রাভেল সিক্রেট পডকাস্টে তিনি জানান, মৃত্যুর পর প্রথমবার মেলবোর্নে ফিরে যাওয়া তার জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টকর।
শোক সামলাতে তারা মেলবোর্ন কাপ-এ অংশ নেওয়ার পরিকল্পনাও করেন।
হার্লি বলেন, ‘ওয়ার্নের রাজ্যীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ২০২২ সালে কাজ ও ভ্রমণ জটিলতার কারণে আমি যেতে পারিনি। তাই এই সফরে তার মা-বাবা, ভাই এবং তিন সন্তান-ব্রুক, জ্যাকসন ও সামার, সবার সঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি। ফিরে যাওয়া ছিল তিক্ত-মধুর; খুব কেঁদেছি, আবার যাওয়ায় শান্তিও পেয়েছি। জানি, পরেরবার অস্ট্রেলিয়ায় গেলে আমি ঠিক থাকব।’
আরআই/টিএ