সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে ঢাকা আসেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনার তাকে স্বাগত জানান।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানাজার নামাজের আগে তিনি সংসদ ভবনে বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার, ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির, পার্লামেন্ট এবং পাকিস্তানের জনগণ এবং নিজের পক্ষ থেকে স্পিকার বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আন্তরিক সমবেদনা ও গভীর শোক প্রকাশ করেন। গভীর শোকের এই মুহূর্তে পাকিস্তানের জনগণ তারেক রহমান, শোকসন্তপ্ত পরিবার, বিএনপির সদস্য ও নেতা এবং বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের সঙ্গে রয়েছে বলে জানান তিনি। সরদার আয়াজ সাদিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফের একটি শোকপত্রও তারেক রহমানের হাতে তুলে দেন।
এই শোকের মুহূর্তে পাকিস্তান সরকার, পার্লামেন্ট এবং জনগণের সহানুভূতি ও সংহতির প্রশংসা করেন তারেক রহমান।
পাকিস্তানের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ বন্ধন এবং আমাদের দুই জাতির মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে সাদিক তাকে শ্রদ্ধা জানান। উভয়পক্ষই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সখ্যতার কথা স্মরণ করে এবং উল্লেখ করে যে তার দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত করতে পারে। এরপর, স্পিকার বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সন্ধ্যায় স্পিকার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। এসময় দুজনই বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার মর্যাদার কথা স্মরণ করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিবর্তনে অবদান যার বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত এবং প্রশংসিত। তারা জনসেবার প্রতি তার নিষ্ঠার প্রশংসা করেন যা লাখো বাংলাদেশির জীবনকে বদলে দিয়েছে। উভয়পক্ষই এই অঞ্চলের শান্তি, অগ্রগতি এবং সহযোগিতার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আসা এবং সংহতি প্রকাশের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা ও শোক বার্তা গভীরভাবে স্মরণ করেন।