নাসার বিজ্ঞানী শাবিপ্রবির ফাহাদ!

বিসিএস ক্যাডার নয় বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেই ফাহাদই এখন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (নাসা) চাকরি পেয়েছেন। নাসায় আবহাওয়া বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ফাহাদ। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

ফাহাদ তার জীবনের গল্প শেয়ার করেছেন। ফাহাদ বলেন, অনার্স শেষে সবাই যখন বিসিএস ব্যাংক নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করেছিল মাকে বলেছিলাম, মা দেখ রেজাল্ট খারাপ হতে পারে, কিন্তু তোমার ছেলে দেশসেরা জ্ঞানী গুনীর একজন হয়ে দেখাবে। সেই দিন থেকেই শুরু করে দিলাম হাড় ভাঙা পরিশ্রম। সারারাত ও দিনে পড়তাম আর লেখতাম। মাঝে মাঝে মেসির খেলা দেখতাম সময় মেনে।

সময় নিয়ে জিয়ারি স্কোর করলাম ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপও পেয়ে গেলাম। এরপরের যাত্রাও সহজ ছিল না। আমেরিকায় এসে মানিয়ে নেয়া নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। সহজভাবে বললে খুব একা লাগত। বিয়ে করতে চাইলাম কিন্তু বিসিএস ক্যাডার না হলে কে বা করবে বিয়ে! খুব খারাপ সময় যাচ্ছিল। সেই সময় জীবনে এল বসন্ত। বিয়ে করে ফেললাম আমার ভালোবাসাকে।

দুজনে অল্প কয়েকদিন পরেই চলে এলাম আমেরিকা। শুরু হল পিএইচডি ডিগ্রি পাওয়ার গবেষণা। আবার খাটাখাটুনি করতে লাগলাম। সেই সময় আমার পাশে ছিল আমার একমাত্র বউ। খুব ক্লান্ত লাগলে বউয়ের রূপের আলোয় চালিয়ে নিতাম গবেষণা। এভাবে এক সময় পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত ডিগ্রি। সেদিন কান্না থামাতে পারিনি।

নাসা বিজ্ঞানী ফাহাদ বলেন, আমার শ্বশুরের স্বপ্ন অনুযায়ি সিলেটের জিন্দাবাজারে নাসা স্টাইলে ফানি নাসা নামে জ্ঞানভবন নির্মাণ করতে চাই। সেখানে ছোট বাচ্চাদের বিজ্ঞান শিখানো হবে। আর এর উপরে এয়ারোপ্লেন ল্যান্ডিংয়ের স্পেস বানানো হবে। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার।

উল্লেখ্য ফাহাদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।তিনি নাসা গড্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে পোস্টডক্টোরাল সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন। তার কর্মক্ষেত্রটি নাসার গ্লোবাল মডেল এবং স্যাটেলাইট ডেটা আত্তীকরণ অফিসে থাকবে। তার প্রাথমিক প্রকল্পটি ইউএমডি এবং নাসা জেপিএলের সহযোগিতায় হবে।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নগরকান্দা উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ Aug 17, 2025
img
উপদেষ্টা ফারুকীর অ্যাপেনডিক্স অপারেশন সম্পন্ন Aug 17, 2025
প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির দিকে ঝুঁকছেন এবং একটি নিরাপদ “সেফ এক্সিট” খুঁজছেন : শওকত মাহমুদ Aug 17, 2025
মহাকাশে পাকিস্তানের নতুন রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইটের যাত্রা শুরু Aug 17, 2025
ভারতের মাথায় আটকে গেলো সেই ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক Aug 17, 2025
দুই দিনের বন্যায় পাকিস্তানে নিহত ৩৫১ জন Aug 17, 2025
img
বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলেও প্রত্যাশা পূরণে হোঁচট খেলো কুলি Aug 17, 2025
img
মির্জাপুর সিনেমায় নতুন চমক, কাস্টে জিতেন্দ্র কুমার ও রবি কিশান Aug 17, 2025
img
প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করবেন শ্রুতি-আরাত্রিকা, নায়ক হবে কে? Aug 17, 2025
img
ড্র দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করল চেলসি Aug 17, 2025
img
বিতর্কের অবসান, এসরাজ শিল্পীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিংয়ের দেহরক্ষী Aug 17, 2025
img
মেঘালয়ে গণপিটুনিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ১১ দিন পর হস্তান্তর Aug 17, 2025
img
অক্ষয়ের খোলামেলা স্বীকারোক্তি, বলিউডে সেরা বন্ধু জন Aug 17, 2025
img
অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএফসি সিজন-১ টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন Aug 17, 2025
নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে -বিএনপি নেতা আলাল Aug 17, 2025
পারমাণবিক যুগে দুই দেশের সংলাপের গুরুত্ব Aug 17, 2025
img
উচ্চশিক্ষায় উন্নতির লক্ষ্যে চায়নার আদলে নতুন প্রোগ্রাম চালুর প্রস্তাব মির্জা গালিবের Aug 17, 2025
নির্ভয়ে শাঁখা সিঁদুর পরে ভোট দিতে যাবেন: নাসিমুল গণি Aug 17, 2025
img
একটি মহল সব সময় ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়েছে : রুমিন ফারহানা Aug 17, 2025
img
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসিতে ১৭৬০ আবেদন Aug 17, 2025