অন্ধত্ব দূর করবে জিন থেরাপি

অন্ধত্ব বা চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস মানুষের একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ক্রমেই হ্রাস পেতে থাকে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা একটি নতুন জিন থেরাপি উদ্ভাবন করেছেন, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাজ করবে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি অক্সফোর্ডের এক নারী যিনি বার্ধক্য জনিত অন্ধত্ব (এএমডি) সমস্যায় ভুগছিলেন, তার উপর এই থেরাপি সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। ইনজেকশনের মাধ্যমে ওই নারীর চোখে এক প্রকার বিশেষ কৃত্রিম জিন প্রবেশ করানো হয়েছে, যাতে দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোষগুলো আর মারা না যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এটাই প্রথম কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে অন্ধত্ব সমস্যার জেনেটিক কারণের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আশি বছর বয়সী জ্যানেটই প্রথম নারী, যার উপর এই জিন থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বার্ধক্যজনিত অন্ধত্ব একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। কেবল যুক্তরাজ্যেই প্রায় ছয় লাখ লোক বার্ধক্যজনিত অন্ধত্ব সমস্যায় ভুগছে। এদের অধিকাংশেরই দৃষ্টিশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।

জ্যানেট অসবর্ণ নামে ওই নারী বিবিসিকে বলেন, “আমার কেন্দ্রীয় দৃষ্টিশক্তি একেবারেই অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, আমি বাম চোখ দিয়ে কারো চেহারা চিনতে পারছিলাম না। তাই এটা খুব বিস্ময়কর ব্যাপার হবে, যদি এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমার দৃষ্টিশক্তির ক্ষয় প্রতিরোধ করতে পারে”।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিশেষজ্ঞ রবার্ট ম্যাকলারেন, যিনি এই অপারেশনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, “যেসব রোগীর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে, তাদের উপর এই জিন থেরাপি প্রয়োগ অদূর ভবিষ্যতে চোখের চিকিৎসায় যুগান্তকারী সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে”।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি আগামীকাল Oct 13, 2025
img
ভোটের দিন ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি শিবিরের Oct 13, 2025
img

ফোনে কর্নেল রাজিবকে শেখ হাসিনা

‘এবার আর কোনো কথা নাই, শুরুতেই দিবা’ Oct 13, 2025
img
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রশংসা করলেন ট্রাম্প Oct 13, 2025
img
নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার Oct 13, 2025
img
দেশে ফিরে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান: আমান Oct 13, 2025
img

বাংলাদেশ ক্রিকেট

বিশ্বকাপে কোয়ালিফাইয়ের পথ ব্যাখ্যা করল বিসিবি Oct 13, 2025
img
গাজীপুরে ৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ Oct 13, 2025
img
ব্যক্তির নামে থাকা ১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন Oct 13, 2025
img
ইসিতে এবার শাপলা প্রতীকের দাবি করলো বাংলাদেশ কংগ্রেস Oct 13, 2025
img
গাজা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না নেতানিয়াহু Oct 13, 2025
img
ছাত্ররাজনীতির মডেল দেখিয়েছে শিবির : সাদিক কায়েম Oct 13, 2025
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই খুন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আলজাফারউই Oct 13, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পাশে জামায়াত, খেলাফত মজলিস ও ইনকিলাব মঞ্চ Oct 13, 2025
img
আরেকটি ১/১১-এর মাধ্যমে আ. লীগ ফিরলে কারো রক্ষা হবে না : রাশেদ খান Oct 13, 2025
img
অবশিষ্ট ১৩ জিম্মিকেও মুক্তি দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী Oct 13, 2025
img
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা Oct 13, 2025
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে মির্জা ফখরুলের মত বিনিময় Oct 13, 2025
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীতের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া Oct 13, 2025
যে দাবিতে মাঠে ঢাকা কলেজ- ইডেন কলেজ সহ ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা Oct 13, 2025