তেতো বলে অনেকেই পাতে তোলেন না, আসলে কী কী গুণ রয়েছে করলায়

স্বাদে তেতো জন্য অনেকেই করলা পাতে তোলেন না। বিশেষ করে বাচ্চারা তো একেবারেই খেতে চায় না। কিন্তু এই তেতো সবজিতেই রয়েছে যত স্বাস্থ্যগুণ। এ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানানো হয়, রোজকার খাবারের তালিকায় করলা রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

করলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন। প্রতিদিনের ডায়েটে এই তেতো সবজি থাকলে অসুখ-বিসুখের সঙ্গে লড়াই করা অনেক সহজ হয়ে ওঠে।

করলা আমাদের স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে —

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে : ডায়াবেটিসের সমস্যায় যে সবজিগুলো চোখ বন্ধ করে খাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল করলা। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যাদুর মত কাজ করে এই তেতো সবজিটি। বিশেষ করে, করলার জুস সুগারের মাত্রা কমাতে অনেক উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের করলা খেতে প্রায় সব চিকিৎসকই বলেন।

হজমশক্তি বাড়ায় : করলাতে থাকা ফাইবার উপাদান ভাল হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ মলত্যাগ সহজ করে তোলে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, শরীর থেকে বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

লিভার সুস্থ রাখে : লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে করলা। লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং শরীরের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে। তাই যাদের লিভারের কোনো সমস্যা রয়েছে তারা রোজ নিয়ম করে করলা খান।

ওজন কমায় : নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ করলা খুব দ্রুত দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই সবজিতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট খুব কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, করলার রস ফ্যাট সেলগুলো বার্ন করে এবং সেই জায়গায় নতুন ফ্যাট সেল তৈরি হতে বাধা দেয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় করলা। করলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। ফলে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি এবং সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকে শরীর।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে : হৃদরোগের অন্যতম কারণ কোলেস্টেরল। করলায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালশিয়াম রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
২৮ অক্টোবরের ধারাবাহিকতায় দেশে সন্ত্রাসী রাজনীতির সূচনা করেছিল আ. লীগ : ডা. শফিকুর রহমান Oct 27, 2025
img
নোয়াখালীতে ১৪ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার Oct 27, 2025
img
সুন্দরবনে বনদস্যু বাহিনীর প্রধান আটক Oct 27, 2025
img
এল ক্লাসিকোর পর ইয়ামালকে খোঁচা দিয়ে বেলিংহামের পোস্ট Oct 27, 2025
img
টানা ৩ হারে বেহাল জুভেন্টাস, লাৎসিওর কাছে পরাজয় ১-০ গোলে Oct 27, 2025
img
ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ গোলে হারাল আর্সেনাল Oct 27, 2025
img
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা Oct 27, 2025
img
ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো হালাল পথে উপার্জন : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
ইসি নূন্যতম সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পারঙ্গম নয়: সামান্তা Oct 27, 2025
img
ভবিষ্যতের নতুন রূপরেখা তুলে ধরলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট Oct 27, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত Oct 27, 2025
img
অর্থনৈতিক উন্নয়নের গ্রহণযোগ্য সমাধান ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট : মান্না Oct 27, 2025
img
কালামের শেষকথা, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই বাড়ি আসব, ইলিশ কিনে রেখো’ Oct 27, 2025
img
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নিউইয়র্কের মুসলিমদের উদ্দেশে মামদানির আবেঘন বার্তা Oct 27, 2025
img
“একাই এসেছি, একাই যাব” - নিঃসঙ্গতার দর্শনে অনুপম রায় Oct 27, 2025
img

অমিতাভ বচ্চন

“না মানেই শেষ কথা” Oct 27, 2025
img
সাভারে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১ Oct 27, 2025
img
জাপানে দক্ষ চালক নিয়োগে বাংলাদেশে ড্রাইভিং স্কুল স্থাপনের ঘোষণা Oct 27, 2025
img
আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ বানিয়েছে জাতীয় পার্টি: আখতার Oct 27, 2025
img
হালান্ডকে আটকে ইতিহাস গড়লো অ্যাস্টন ভিলা, এমেরির জাদুতে হতভম্ব ম্যান সিটি Oct 27, 2025