অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দূর করার ৪ অভ্যাস

মানুষের মনে দুশ্চিন্তা আসবেই। কিন্তু এই দুশ্চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কারণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের মন ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর কারণে সৃষ্ট হতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই দুশ্চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এটি এমন এক সমস্যা যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। জীবনের ছোট-বড় সব বিষয়কে দুর্বিসহ করে তোলে দুশ্চিন্তা। এই সমস্যা এড়াতে কিছু কাজ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৪টি কাজ বা অভ্যাস সম্পর্কে-

প্রার্থনা

আমাদের মনকে শান্ত রাখার জন্য প্রার্থনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যার যার ধর্মীয় প্রার্থনা মানুষকে শুদ্ধ করে। আপনি প্রার্থনায় নিমগ্ন হলে যাবতীয় ভয়, দুশ্চিন্তা দূরে সরে যাবে। নিয়ম মেনে প্রার্থনা করুন, দুশ্চিন্তা দূর হয়ে অন্তরে প্রশান্তি ভর করবে। সেইসঙ্গে নিয়মিত নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ ও বর্জন করুন। প্রতিদিন সকালে মিনিট দশেক এই ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন।

পর্যাপ্ত ঘুম

সুস্থ থাকার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয়গুলোর একটি হলো পর্যাপ্ত ঘুম। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন অন্তত ছায়-সাত ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুম পর্যাপ্ত হলে তা দুশ্চিন্তা দূর করতে জাদুকরী ভূমিকা রাখে। সেইসঙ্গে মনও শান্ত থাকে। তাই ঘুম যেন ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘুম ভালো হলে আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মনোযোগের অভ্যাস

সবকিছুতে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। একমনে যেকোনো কাজ করার অভ্যাস আপনাকে অনেক দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখবে। যখন আমরা কোনোকিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা করি তখন অতীত নয় ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি। এতে আরও বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। এরকমটা হলে সেই সময় চোখের সামনে যা আছে তাতেই মনোযোগ দিতে হবে। এভাবেই মনোযোগের অভ্যাস তৈরি হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি নিশ্চিত করে মানসিক সুস্থতাও। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করুন। সেইসঙ্গে তেলেভাজা ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বাদ দিন। কারণ এ জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়‌। যে কারণে দুশ্চিন্তার করার অভ্যাসও আরও বাড়তে থাকে।

Share this news on:

সর্বশেষ

মানসিক প্রশান্তি আনার আমল | ইসলামিক টিপস Oct 26, 2025
img
নেটফ্লিক্সসহ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের বড় সিদ্ধান্তে আলোড়ন Oct 26, 2025
img
বিগত দুই বছর নতুন পরিকল্পনা সই করতে পারিনি: বিইপিআরসির চেয়ারম্যান Oct 26, 2025
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, চলাচল বন্ধ Oct 26, 2025
img
জুলাই শহীদ পরিবারের সাথে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত Oct 26, 2025
img
আন্তর্জাতিক মানে শ্রম আইন সংশোধন, শ্রম অধিকারে বড় অগ্রগতি : শ্রম উপদেষ্টা Oct 26, 2025
img
আবার ছোট পর্দায় ফিরছেন অপরাজিতা Oct 26, 2025
img
বাণিজ্য আলোচনায় ‘প্রাথমিক ঐকমত্যে’ পৌঁছেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র Oct 26, 2025
img
বইমেলা হবে, কোনো সন্দেহ নেই : প্রেসসচিব Oct 26, 2025
img
বিএমইউর নতুন পরিচালক ইরতেকা রহমান Oct 26, 2025
img
আমিরাতে ৪০ লাখ টাকার সোনা জিতল বাংলাদেশি প্রবাসী Oct 26, 2025
img
চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: চসিক মেয়র Oct 26, 2025
img
শিক্ষা কোনো ব্যয় নয়, এটি মানবসম্পদে বিনিয়োগ : শিক্ষা উপদেষ্টা Oct 26, 2025
img
শাপলা প্রতীক পেতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে এনসিপি : সারজিস আলম Oct 26, 2025
img
না জেনে আ. লীগকে বিশ্বকবি-বিদ্রোহী কবি বানিয়েছিলাম : রনি Oct 26, 2025
img
রাস্তা নির্মাণে কোনো কারচুপি সহ্য করা হবে না : মেয়র শাহাদাত Oct 26, 2025
নির্বাচনের মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি, তত্ত্বাবধানে তারেক রহমান Oct 26, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের প্রাণহানি, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪৩ Oct 26, 2025
img
হাতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি Oct 26, 2025
img
বিএনপি-জামায়াত পারবে না, এনসিপিকে লাগবে: সারজিস Oct 26, 2025