ব্রকলি একটি শীতকালীন একটি সবজি। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রকলি দারুণ পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি সবজি। একটি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণায় ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার হিসেবে ব্রকলি দশম স্থান দখল করেছে।
ক্যান্সার ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দূর করে ব্রকলি কাজ করে। চলুন, জেনে নিই ব্রকলির কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে।
ভিটামিন ‘সি’-এর উৎস
ব্রকলিতে রয়েছে লেবুর চেয়ে দ্বিগুণ ভিটামিন ‘সি’। তাই যেকোনো ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ দূর করতে ব্রকলি এক অভিনব বিকল্প।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ব্রকলিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম। যা ফুসফুস, যকৃত, স্তন ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের মহৌষধ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ব্রকলির সেলিনিয়াম উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ব্রকলিতে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে সর্দিকাশির ঝুঁকি কমায়।
এ ছাড়া হাড় মজবুত করতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে ব্রকলি সাহায্য করে। এতে রয়েছে অধিক পরিমাণ ভিটামিন ই এবং সালফরাফেন, যা গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে।
বার্ধক্য কমায়
ব্রকলি দেহের সক্রিয় অক্সিজেন প্রতিরোধ করে শরীরকে বিষমুক্ত করে। এটি বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ত্বক পরিষ্কার করে
ভিটামিন ‘সি’ ত্বক সুন্দর করে। আর ব্রকলি ভিটামিন ‘সি’-এর একটি চমৎকার উৎস। তাই নিয়মিত ব্রকলি খেলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে।
ওজন কমায়
ব্রকলিতে ফ্যাটের পরিমাণ নেই। এতে বেশি পরিমাণ লৌহ উপাদান থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
দিনে ১০০ গ্রাম ব্রকলি খেলে শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হয়। ব্রকলি কেনার সময় সবুজ, গাঢ় এবং শক্ত কুঁড়ি দেখে কিনতে হবে। এরপর রান্না করে শুধু কুঁড়ির অংশটি খেতে পারেন। এর ডাটাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম। রান্নার পাশাপাশি এটি মাংসের সঙ্গে রোস্ট করে খাওয়া যায়।
আরএ/টিএ