সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড গড়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। গতকাল ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড, একইসঙ্গে নাম তুলেছেন টি-টোয়েন্টির বেশ কিছু কীর্তিতে। ৩৫ বলের সেই সেঞ্চুরিতেই তিনি রাজস্থান রয়্যালসকে টানা পাঁচ হারের পর জয়ের স্বাদ দিলেন। এরপর থেকেই রীতিমতো ক্রিকেট দুনিয়ার প্রশংসায় ভাসছেন বৈভব। তার জন্য বড় অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
মূলত ভারতীয় ক্রিকেটে বিহার রাজ্যকে যেভাবে নতুন করে আলোচনায় আনলেন বৈভব, তাতেই অনেক উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তিনি ১৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ১০ লাখ রুপি (১০ লাখ টাকা) আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানান, আইপিএলে সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করার পরই ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন বৈভবকে।
রাজস্থানের এই ওপেনারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। গত বছর বৈভবের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৪ বছর) সেঞ্চুরি করা বৈভব সূর্যবংশীকে অভিনন্দন ও শুভকামনা। নিজের প্রতিভা ও পরিশ্রমের জোরেই ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন আশায় পরিণত হয়েছে সে। তাকে নিয়ে সবাই গর্বিত। বৈভব সূর্যবংশী ও তার বাবার সঙ্গে ২০২৪ সালে একবার দেখা হয়েছিল। সেই সময় বৈভবের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছিলাম।’
ইতোমধ্যে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে উল্লেখ পুরস্কার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘আইপিএলে দুর্দান্ত প্রদর্শনীর পর ফোনে কথা বলে বৈভবকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছি। বিহারের উঠতি ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশীকে রাজ্য সরকারের তরফে ১০ লাখ রুপি পুরস্কারও দেওয়া হবে। আমার শুভকামনা রইল যে, বৈভব ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের হয়ে নতুন নতুন রেকর্ড গড়বে এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।’
গতকাল (সোমবার) জয়পুরে গুজরাট টাইটান্সের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন বৈভব। ১৪ বছর বয়সে খেললেন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংসটাই। এত কম বয়সে কার কারোরই ফরম্যাটটিতে সেঞ্চুরি নেই। ৩৫ বলে করা সেঞ্চুরি আইপিএল ইতিহাসেও দ্বিতীয় দ্রুততম। এর আগে বৈভব ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন মাত্র ১৭ বলে। শেষ পর্যন্ত ৭টি চার ও ১১ ছক্কায় ৩৮ বলে ১০১ রান করেন।
এমন ইনিংসের সুবাদে বৈভব ম্যাচ শেষে জেতেন চারটি পুরস্কার। ২৬৫.৭৮ স্ট্রাইকরেট, সর্বোচ্চ ফ্যান্টাসি পয়েন্ট, ম্যাচের সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা এবং ম্যাচসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি। চারটি কীর্তির জন্য বাগিয়ে নিয়েছেন ৪ লাখ রুপি আর্থিক পুরস্কার।
আরএম/টিএ