সীমান্তের বাসিন্দাদের যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত

কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে উঠেছে ভারতের। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকাতে ও সীমান্তবর্তী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। এর অংশ হিসেবে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ঘেঁষা এলাকার স্কুল শিক্ষার্থীদেরও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ।

ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সীমান্তের পাশবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হয়েছে এই নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এতে রয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করতে হবে, কামানের গোলা থেকে বাঁচার কৌশল এবং জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে সচেতনতা।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মিরের বাইসারন উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন পর্যটক। ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়। পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের সেনাবাহিনী যেকোনো সময় সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালাতে পারে— এমন তথ্য পেয়েছে তারা।

ভারতের ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেহেলগাম হামলার পর ছয় দিন ধরে সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী সাধারণ মানুষ এবং স্কুলশিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে তুলাওয়ারি গ্রামের শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানি বাঙ্কার থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরত্বে থাকায় চরম হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয়দের মতে, তারা এমন পরিস্থিতি আগে দেখেননি, এবং বর্তমানে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর শঙ্কায় আছেন।


এসএস/এসএন

Share this news on: