ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবানল, জলবায়ু সংকটের আশঙ্কাজনক ইঙ্গিত

দখলদার ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমে বিশাল দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। যা ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বলে জানিয়েছেন ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের জেরুজালেম বিভাগীয় কমান্ডার সুমিলিক ফ্রিডম্যান। আর এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হবে বলে সতর্কতা দিয়েছেন এ দখলদার কর্মকর্তা।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে সুমিলিক ফ্রিডম্যান বলেন, “আমরা অনেক বড় একটি দাবানলের মধ্যে রয়েছি। খুব সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড়। আগুন নেভাতে আমাদের যে কার্যক্রম চলছে, তা আরও দীর্ঘ সময় চলবে। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার অনেক দূরে রয়েছি।”

তিনি জানিয়েছেন, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল মেসিলাত জিওনে। যা শক্তিশালী বাতাসের প্রভাবে পশ্চিম দিকে ছড়ায়। এরপর এটি পূর্বদিকে যেতে থাকে। তিনি বলেছেন, আজ সন্ধ্যা থেকে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার ঘণ্টায় বাতাস বইতে পারে। যা দাবানল পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিতে পারে।

কীভাবে এ দাবানলের সৃষ্টি হলো এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে এই দখলদার কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের ধারণা নেই। সত্যিই কোনো ধারণা নেই।”

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, আগুনের সূত্রপাত নিয়ে কাজ করছে অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত। তারা ‘ইচ্ছেকৃতভাবে আগুন লাগানোর' বিষয়টিও মাথায় রাখছে। কেউ কেউ আগুন লাগিয়ে দাবানল ছড়াতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের শনাক্ত করতে পুলিশকে সহায়তা করছে শিন বেত।

এদিকে দাবানল পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গ্রিস, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও বুলগেরিয়ার সহায়তা চেয়েছে দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে গ্রিস ও ইতালির অগ্নিনির্বাপক বিমান ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
দখলদার ইসরায়েলের সেনাপ্রধান তার সেনাদের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়া মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি অথরিটি তাদের ফায়ার কর্মীদের আগুন নেভানোয় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এফপি/টিএ 

Share this news on: