চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দ্রুত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জনের জন্য অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বন্দরগুলোকে বিশ্বমানের করতে হবে, বিশেষ করে ইনভেস্টমেন্ট হাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে। তিনি এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের নৌবন্দরগুলোর হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি ১.৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা এবং কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বছরে ১.২৭ মিলিয়ন ইউনিট এবং মোংলা বন্দর ০.১ মিলিয়ন ইউনিট হ্যান্ডেলিং করতে সক্ষম, যেগুলো যথাক্রমে ১.৫ মিলিয়ন ও ০.৬৩ মিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।

এছাড়া, নতুন বন্দর নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য আহ্বান জানান এবং অগাস্টের মধ্যে লালদীয়া বন্দরের কাজ শেষ করার তাগিদ দেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, পিপিপিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।


এসএস/এসএন

Share this news on: