গাদার ২ আর জাট-এর জয়জয়কারের পর এখন হিন্দি চলচ্চিত্রে আবারও মহাতারকার কাতারে উঠে এসেছেন সানি দেওল। ঠিক এই সময়েই শোনা যাচ্ছে নতুন গুঞ্জন—দক্ষিণী মহাসফল চলচ্চিত্র অখণ্ড-এর দ্বিতীয় কিস্তিতে নাকি বিশেষ উপস্থিতি রাখতে পারেন সানি। এই খবর একদিকে রোমাঞ্চকর, অন্যদিকে চিন্তারও।
অনেক অনুরাগীর মতে, এটি হতে পারে এক অসাধারণ কৌশল। দক্ষিণী চলচ্চিত্রের সঙ্গে হিন্দি চলচ্চিত্রের সংযুক্তি মানেই বিশাল আগ্রহ, আর সানি দেওল নিজেই তো একজন গর্জনকারী নায়ক। বালাকৃষ্ণার মতো একজন তীব্র অভিনয়ের নায়কের সঙ্গে যদি একই পর্দায় দেখা যায় সানিকে, তবে তা নিঃসন্দেহে “শক্তির সাক্ষাৎ শক্তির” চমকপ্রদ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে।
আবার অনেকে বলছেন, এটি হতে পারে এক দুঃসাহসিক ঝুঁকি। অখণ্ড যেখানে মূলত পৌরাণিক রূপে গড়া, অত্যন্ত নাটকীয় ভঙ্গিমায় নির্মিত, সেখানে সানির সরল দেশপ্রেমিক ভাবমূর্তি যেন ঠিক মানানসই নয়। তদুপরি, প্রথম অখণ্ড চলচ্চিত্রটি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের অনেক দর্শকের কাছেই অতিরিক্ত নাটকীয় ও উচ্চগ্রামে উপস্থাপিত বলে সমালোচিত হয়েছিল। সেই ধাঁচে সানিকে দেখা গেলে, তাঁর সদ্য অর্জিত পুনরুত্থান কি আবার ব্যাহত হবে না?
তবে যদি সবকিছু সঠিকভাবে হয়, তবে এটি হতে পারে এক মোড় পরিবর্তনকারী উপস্থিতি। দক্ষিণের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে সানির জন্য নতুন অনুরাগ তৈরি হতে পারে, বেড়ে যেতে পারে তাঁর পুরনো জনপ্রিয়তার মূল্যও। তবে যদি এটি প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে ক্ষতিও হতে পারে গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী।
এই মুহূর্তে সবকিছুই গুজব। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি। কিন্তু হিন্দি আর দক্ষিণী চলচ্চিত্রের এই সংযোগের যুগে এমন বিস্ময় একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। প্রশ্ন একটাই — স্বল্পমেয়াদী উত্তেজনা, না কি দীর্ঘমেয়াদী ভাবমূর্তির ভারসাম্য? সিদ্ধান্তটা নিতে হবে অনেক ভেবেচিন্তে।
এফপি/এস এন