আম-কাঁঠালের পর এবার আবর্জনা চায় চীন

বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা ময়লার ভাগারগুলোকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে চীন। তারা এসব বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়, যা দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে এবং একই সঙ্গে মুক্তি মিলবে ময়লার দুর্গন্ধ থেকেও।

আবর্জনা ও বিদ্যুৎ এই দুই নিয়ে যেন সমস্যার শেষ নেই এ দেশে। একদিকে প্রয়োজনের তুলনায় যেমন ঘাটতি আছে বিদ্যুতের, অপরদিকে যত্রতত্র ময়লার ভাগারের দুর্গন্ধে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন পদক্ষেপেও এই দুই সমস্যাকে আনা যায়নি নিয়ন্ত্রণে। তবে এবার বাংলাদেশের কাছে বর্জ্য চাইল চীন। দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীন আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতেও আগ্রহী। গত বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াও ওয়েন তার সরকারের এ আগ্রহের কথা জানান।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আগ্রহ প্রকাশের পর চীনের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন চীনের সহযোগিতায় দেশের সব সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ সরকার আগ্রহী। জবাবে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীন আগ্রহী। একে একে সব সিটি কর্পোরেশনে যেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রকল্প হাতে নেবে চীন।

শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে নয় বাংলাদেশ ক্রীড়া অঙ্গন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সাক্ষাতে। এ বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার জন্য চীনে আমন্ত্রণ জানাতে চান। এমনকি বাংলাদেশের যেকোনো পর্যায়ের খেলোয়াড় কিংবা কোচদের উন্নত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি।

এর আগে ২০ মার্চ প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা এ তিনটি পণ্য বিপুল পরিমাণ আমদানি করতে চায় চীন। সরকারকে চীনের এই আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াওয়েন।

আরএ/এসএন

Share this news on: