সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে রোজ সকালে কী খান কঙ্গনা?

সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা এখন ধারেকাছেও আসে না। গলা বসে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি পেয়েছেন। ঋতু পরিবর্তনের সময়ের ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ থেকেও থাকেন একশ হাত দূরে। অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত এমন দাবি করেছেন।

কিভাবে তিনি এতো ফিট ও তরতাজা থাকেন, তা জানালেন সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে। এ সময় তিনি তার সুস্থতার পেছনের চাবিকাঠি হিসেবে একটি বিশেষ ঘরোয়া টোটকার কথাই বলেছেন।

মৌসুম পরিবর্তনের সময়ে সর্দি-কাশি তো লেগে থাকেই, সেইসঙ্গে যুক্ত হয় ভাইরাল জ্বর। তার ওপর কখনো পাহাড়ে, কখনো সমুদ্রের ধারে শ্যুটিং করতে হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।
চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে বৃষ্টিতে ভিজতেও হয়।
 
এতকিছুর পরেও ওষুধ না খেয়েই সুস্থ থাকেন কঙ্গনা। জানালেন, যখনই মনে হয় যে গলা বসে যাচ্ছে অথবা ঠাণ্ডা লেগে যাবে, তখনই সেই বিশেষ ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেন তিনি। সে সময় তিনি ভেষজ উপকরণ দিয়েই একটি পানীয় তৈরি করেন অভিনেত্রী।এসব উপকরণ প্রায় সব ঘরেই থাকে। সেই পানীয় প্রায় প্রতিদিনই খান কঙ্গনা। এতে তার শরীর যেমন ডিটক্স হয়, তেমনই রোগবালাই দূরে থাকে।

কী খেয়ে ফিট থাকেন কঙ্গনা
হলুদ, আদা, আমলকী ও গোটা গোলমরিচ দিয়ে তৈরি পানীয় খেয়ে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে বেঁচে থাকেন কঙ্গনা। একটা পাত্রে পানি গরম করে তাতে কাঁচা হলুদের টুকরা, আদা কুচি, আমলকির টুকরা ও কয়েকটি গোটা গোলমরিচ দিয়ে ফোটাতে হবে।

মিনিট দশেক ফোটার পরে পানির রং বদলাতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে আরো কিছুক্ষণ রেখে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। এবার সেই পানীয় ঢেকে রাখুন আরো কিছু সময়, এতে আদা, আমলকির রস ভালো করে পানিতে মিশে যাবে। তারপর ছেঁকে সেই পানীয় খেতে হবে।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ শরীরে প্রদাহ কমায়, জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। আদায় আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যা কমাতে পারে।
 
এ ছাড়া আমলকির ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর গোলমরিচের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে, যা জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। ঠাণ্ডা লাগলে গোটা গোলমরিচ ফুটিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।

এমআর/এসএন


Share this news on: