ঋণ দেওয়ার নামে ৮২ লাখ টাকার প্রতারণা, স্বামী-স্ত্রী আটক

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় জনশক্তি নামক ঋণ প্রদানকারী অফিসের বড় পোস্টে চাকরির পরিচয়ে ১ হাজার ৪০০ সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রতারক সাজেদুল ইসলাম (৫০) ও তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩৫)।

এ ঘটনায় মোছা. ফারহানা খাতুন (২৩) নামে এক নারী র‌্যাব-১৪ বরাবর প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে শুক্রবার রাতে র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে নগরীর চুরখাই এলাকা থেকে সাজেদুলকে আটক করে। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে আটক করা হয়।

সাজেদুল ইসলাম নগরীর চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম গ্রামে জনশক্তি নামক ঋণ প্রদানকারী অফিসের বড় পোস্টে চাকরির ভুয়া পরিচয় দিয়ে মিথ্যা আশ্বাসে জাল নথিপত্র তৈরি করে মানুষকে সহজ কিস্তির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আসছিল সাজেদুল ও তাসলিমা। ফারহানা খাতুন (২৩) ওই অফিসে মাঠকর্মী হিসাবে চাকরি করতেন।

এই সুবাদে সাজেদুল ও তাসলিমার সঙ্গে তার পরিচয়। সাজেদুল সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে ফারহানাসহ সমিতির অন্যান্য মাঠকর্মীরা এ বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বিগত এক বছর ধরে আছিম গ্রামের ১ হাজার ৪০০ সদস্যদের নিকট থেকে প্রায় ৮২ লাখ টাকা উত্তোলন করে সাজেদুল ও তসলিমাকে দেয়। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল সকালে সাজেদুল ইসলামকে ফোন করলে কাজ চলমান আছে বলে জানায়। সাজেদুলরা অফিসে আসার কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এর মধ্যেই তারা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফারহানা খাতুন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর র‌্যাব-১৪ ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে।

পরে র‌্যাব-১৪-এর একটি আভিযানিক দল শুক্রবার রাতে চুরখাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূলহোতা প্রতারক সাজেদুল ইসলাম এবং ঈশ্বরগঞ্জ থেকে তাসলিমা আক্তারকে আটক করে। তারা ভুয়া পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ওই এলাকায় প্রতারণা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় র‌্যাব।

আরআর

Share this news on: