ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধাপ্রদান, হামলা ও মারধরের মামলায় তাদের আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) যশোর কোতয়ালী থানার এ. এসআই শওকত আলী পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় বাদী হয়ে একই থানায় মামলা করেন। এরপরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- কালীগঞ্জ পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোকলেচুর রহমান (৫০), সাগর হোসেন (২৬), মো. আল মামুন ও তরিকুল ইসলাম মিন্টু (৪০)।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত সোমবার বিকেলে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে যায়।
ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ফেরার সময় সংঘবদ্ধ ৮/১০ জন পুলিশের ওই টিমের ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই নারী পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হন। পরে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার শিকার পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, হামলায় যশোর কোতয়ালী থানার এএসআই তাপস কুমার পাল, কনেস্টবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন আহত হয়েছিলেন। ঘটনার পর ১৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনকে আসামি করে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলায় অংশ নেয়া ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।
এসএম/টিএ