এক দশকে এই প্রথম বেতন বাড়ল এনভিডিয়া প্রধানের

বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো তার বেতন বাড়িয়েছেন।

মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) জমা দেওয়া কোম্পানির নথির বরাতে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনবিসি।

নথি অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবছরের তুলনায় হুয়াংয়ের মূল বেতন ৪৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ডলার। পাশাপাশি নগদ বোনাসও ৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ডলারে। সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি দেখা গেছে স্টক রিওয়ার্ডে, যা এখন ৩৮.৮ মিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে ২০২৫ অর্থবছরে হুয়াংয়ের বার্ষিক মোট পারিশ্রমিক দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৯.৯ মিলিয়ন ডলার।

এনভিডিয়ার বেতন কমিটি জানায়, অভ্যন্তরীণ বেতন কাঠামোর ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানির সিইওদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নথিতে বলা হয়, “গত ১০ বছরে এই প্রথম তার বেতন বাড়ানো হলো।”

এআই প্রযুক্তির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এনভিডিয়ার ব্যবসায়ও বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি এসেছে। কোম্পানির তৈরি গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) বর্তমানে আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেল নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এনভিডিয়া জানিয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরে তাদের আয় ১১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ বিলিয়ন ডলারে। ২০২২ সালের শেষ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বেড়েছে নয় গুণেরও বেশি। হুয়াং বর্তমানে এনভিডিয়ার ৩.৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক, যার বাজারমূল্য প্রায় ৯৪ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া ২০২৫ সালের জন্য হুয়াংয়ের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, পরামর্শ ফি ও ড্রাইভার সেবার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর ছিল ২.২ মিলিয়ন ডলার।

এদিকে, গুগলের সিইও সুন্দার পিচাইয়ের নিরাপত্তা ও ভ্রমণ খাতে ২০২৪ সালে ব্যয় হয়েছে ৮.২৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।


এসএস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাউন্ড গ্রেনেডে উত্তেজনা, প্রেস ক্লাব থেকে সরে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা Oct 12, 2025
img
রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না : সিইসি Oct 12, 2025
img
এনসিপি দেশপ্রেমিক, গণতন্ত্রে বাধা হবে না : সিইসি Oct 12, 2025
img
আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য যোগদানের প্রতিবাদে কুয়ালালামপুরে বিক্ষোভ Oct 12, 2025
img

ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর

দানবীয় সরকারের পতনে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল Oct 12, 2025
img
'সৌদি আরব ও কাতারের হস্তক্ষেপের পর হামলা বন্ধ করা হয়েছে' Oct 12, 2025
img
আমরা সবাই কাঞ্চন ভাইয়ের পাশে আছি : শাকিব খান Oct 12, 2025
img
সেনাবাহিনীর উদ্যোগে প্রশংসা করলেন জামায়াতের আমির Oct 12, 2025
img
শাহরুখ, সালমান, আমির একসাথে এক মঞ্চে! Oct 12, 2025
img
পাকিস্তান সীমান্তে ট্যাংক-অস্ত্র নিচ্ছে আফগানিস্তান Oct 12, 2025
img
মাইলস্টোনের ৭১ শতাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এখনও ঘুমে সমস্যা হচ্ছে Oct 12, 2025
img
দীপিকা পাডুকোন ভারতের প্রথম মানসিক স্বাস্থ্য দূত! Oct 12, 2025
img
রাজধানী থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Oct 12, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ১০০ আসনে লড়বে এবি পার্টি Oct 12, 2025
img
সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খেতে বললেন সংগীতশিল্পী প্রিন্স মাহমুদ Oct 12, 2025
img
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Oct 12, 2025
img
উচ্ছেদের পরও ফের দখলে ঢামেকের ফুটপাত Oct 12, 2025
img
সমালোচনা থেকে শক্তি নেওয়া শিখেছে জাহ্নবী: শশাঙ্ক খাইতান Oct 12, 2025
img
ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে কী করব : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 12, 2025
img
ময়মনসিংহে এনসিপি ও পরিবহন শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব, বন্ধ মহাসড়কে বাস চলাচল Oct 12, 2025