পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আর চারবার ফিফার বর্ষসেরা ক্লাব কোচিংয়ের পুরস্কার। অর্জনের ঝুলিতে আছে আরও বহু পুরস্কার। নামটা এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন; বলছি রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তির কথা। শোনা যাচ্ছে রিয়াল ছেড়ে ব্রাজিলের কোচ হতে যাচ্ছেন তিনি। তবে এখনো অনেক হিসেব বাকি।
বিশ্বকাপ খরা কাটাতে ব্রাজিল যেকোনো মূল্যে ইতালিয়ান এই মাস্টারমাইন্ডকে পেতে চাচ্ছে। তবে বিদেশি কোচে বড্ড অনীহা ২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে শিরোপা জেতানো অধিনায়ক কাফুর। আনচেলত্তির ওপরও খুব একটা আস্থা নেই তার। তিনি বরং ব্রাজিলিয়ান কোচেই নেইমার-ভিনিদের বিশ্বকাপ খরা কাটানোর সমাধান দেখছেন।
আনচেলত্তি দায়িত্ব নেওয়ার আগে তাকে ব্রাজিলের ৫টি বিশ্বকাপ জয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কফু। বলেন, ‘যদি আনচেলত্তিকে নির্বাচন করা হয়, তবে আমরা তাকে স্বাগত জানাব। কিন্তু আমরা একমাত্র দল হিসেবে পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছি বিদেশি কোচ ছাড়াই। আমাদের সব সময় দেশি কোচই ছিল, এটাই ব্যাপার। ব্যাপারটা এমন না যে একজন বিদেশি কোচের জাতীয় দলে আসা উচিত। কিন্তু আমি এই বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিলিয়ান কোচের ওপরই বাজি ধরব।’
কাফু আরও বলেন, ‘কেন? টুর্নামেন্টের এখন বছর দেড়েক বাকি। তাই একজন কোচকে আমি পরিকল্পনা তৈরির এবং বিশ্বকাপ জয়ের জন্য দল গঠনের সুযোগ দিতে চাই। ২০৩০ সালের মধ্যে, দীর্ঘ যোগ্যতা অর্জনের সময়কাল বিবেচনা করে, চার বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বিদেশি কোচ কাজটি করতে পারবেন।’
অবশ্য আনচেলত্তির প্রশংসাও করেছেন কাফু, ‘আনচেলত্তি একজন অসাধারণ কোচ। এমনকি, তিনি শুধু একজন কোচই নন, মিলানে তিনি বাবা, বন্ধু এবং ভাইয়ের মতো ছিলেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে দুই জায়গাতেই। ম্যাচ এবং অনুশীলন সেশনগুলোর পাঠ কীভাবে করতে হয়, সেটাও তিনি জানেন। তিনি তাঁর খেলোয়াড়দের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন। তিনি এমন কোচ, যিনি যেখানে গেছেন সেখানেই জিতেছেন। ফলে জাতীয় দলকে জেতার জন্য তিনি সহায়তা করতে পারবেন।’
এফপি/এসএন