গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান এই আহ্বান জানান।
পোস্টে তারেক রহমান ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে মেহেদী হকের একটি কার্টুন জুড়ে দেন।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘এই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সত্যনিষ্ঠ, নৈতিক দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করা সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।’
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে অবশ্যই রক্ষা ও গ্রহণ করতে হবে, কোনোভাবেই দমন বা সেন্সর করা যাবে না। তবে বাংলাদেশে আমরা সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দমনপীড়নের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পদ্ধতিগত অবক্ষয় দেখছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সেই অন্ধকার বছরগুলোয় অটল সাহস ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক গভীরভাবে প্রোথিত দুর্নীতি, মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন, আর্থসামাজিক ব্যর্থতার মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছিলেন, যা রাষ্ট্র দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল। এই সাহসী সাংবাদিকেরা দেশের ভেতরে-বাইরে, মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সত্য অনুসন্ধানে অবিচল থেকেছেন। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য, মতপ্রকাশের মৌলিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার জন্য তারা লড়েছেন।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যা নৈতিকতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখে। আমরা নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনকে সম্মান করি, এমনকি যদি তা আমাদের এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না–ও হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের সেবা করে।
তিনি বলেন, যদি আমরা একটি শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র পেতে চাই, তাহলে সাংবাদিকতার সততা ও স্বাধীনতা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। আসুন, আমরা সব বিভেদ এক পাশে সরিয়ে রেখে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার সবার জন্য গণমাধ্যমসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।
এসএন