পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে কখনোই খুব বেশি গোপনীয়তা ছিল না। এমনকি বিচ্ছেদের পরেও একে-অপরকে নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলতে দ্বিধা করেন না তারা।
তবে প্রশ্ন রয়ে যায়— বিচ্ছেদের পর পরমব্রত-স্বস্তিকার সম্পর্ক এখন কেমন? একসঙ্গে কাজ করতে তারা কতটা স্বচ্ছন্দ? এবং কেনই বা তাদের সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল দুজন?
২০০৮-০৯ সাল নাগাদ প্রেম করেছেন স্বস্তিকা আর পরমব্রত। তখন সদ্য জিতের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে অভিনেত্রীর। দুজনের প্রেমটা ছিল প্রায় বছর দুয়েক।
ততদিনে মা হয়েছেন অভিনেত্রী। দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে এলেও, চলছে ডিভোর্সের মামলা। সেই কঠিন সময়তেই পাশে পেয়েছিলেন পরমব্রতকে।
সম্প্রতি স্ট্রেট আপ উইথ শ্রীতে পরমব্রত জানান, ব্রেকআপ করার সিদ্ধান্ত ছিল তারই। অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের প্রায়শই দেখা হয়। কথা হয়। দুইটা বছর একসঙ্গে ছিলাম। সেই দুই বছরের মধ্যে একটা বড় সময় এমন ছিল, যেটা খুব সুন্দর ছিল। সেটাকে আমি সারাজীবন সুন্দর স্মৃতি হিসেবে মনে রেখে দেব। আরেকটা যেটা ছিল, সেটা খুব অশান্ত। আমার বলতে কোনো বাধা নেই, একটা সময়ে এসে আমি নিজেই সম্পর্কটা ভেঙেছি।’
এর পরপরই সিনেমা নিয়ে পড়াশোনার জন্য পরমব্রত চলে যান বিদেশ। তারপর যখন ফেরত আসেন, ততদিনে অনেকটাই ভরে গেছে ক্ষত। কিন্তু প্রথমদিকে প্রাক্তন প্রেমিকার মুখোমুখি হলে একটু ঘাবড়ে যেতেন। তবে ধীরে ধীরে, সেই দ্বিধাও কেটেছে।
পরমব্রতকে বলতে শোনা গেল, ‘সেই সময়ের আমি আর আজকের আমির মধ্যে অনেকটা পার্থক্য আছে। সেই সময় (বিচ্ছেদের পরপর) ওর সঙ্গে কথা বলতে অস্বস্তি হত, অ্যাংজাইটি কাজ করত। তবে এখন আর তেমনটা হয় না।’
প্রাক্তন প্রেমিকা এখন অনেক বদলে গেছেন জানিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘স্বস্তিকারও মানুষ হিসেবে অনেক বিবর্তন ঘটেছে। আমি যে স্বস্তিকাকে চিনতাম, যখন আমরা একসঙ্গে ছিলাম, সেই স্বস্তিকা আর এই স্বস্তিকার মধ্যে অনেকটা ফারাক। সেটা আমি দেখতে পাই। ওর কথা শুনলে বুঝতে পারি। যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম, আজ থেকে ১৬ বছর আগে, তখন এসব ভাবতেও পারতাম না।’
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যদিও বা এখন থিতু হয়েছেন। পিয়া চক্রর্তীর সঙ্গে বেঁধেছেন ঘর। জুন মাসে আসবে তার প্রথম সন্তান। তবে ‘সিঙ্গেল’ স্বস্তিকার আরও দু-একট প্রেম হলেও, সেভাবে স্থায়ী হয়নি কোনোটাই। এমনকী সেই ২০০০ সালে শুরু হওয়া ডিভোর্স মামলারও নিষ্পত্তি হয়নি। এখনও তিনি আইনত প্রমিত সেনের স্ত্রী।
আরএ/টিএ