বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা সব সময় মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম এবং থাকবো। অন্যের মত চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিএনপিই সবচেয়ে কার্যকরভাবে কাজ করেছে।”
রোববার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি নুরুল কবীর। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে বেড়েছে। সূচকে ১৬ ধাপ উত্তরণ ঘটছে।
তিনি বলেন, আমার দলই ১৯৭৫ সালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। এর আগে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে বেশিরভাগ সংবাদ পত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। আমরাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্যে বেশি কাজ করেছি। তবে আমরা দোয়া তুলসি পাতা সেটি বলবো না।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্দিদ্বায়, স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা বরাবর সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। আমরা কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংবাদ মাধ্যমের একটি গোষ্টি এখন আরেকটি গোষ্টিকে আক্রমণ করে। এর সঙ্গে রাজনীবিদরাও জড়ায়। আবার সংবাদ মাধ্যম উড়িয়ে দেওয়া, গুড়িয়ে দেওয়া, মব জাস্টিস করা, সেটাকে আমরা গণতন্ত্র হিসাবে দেখি না। আমাদের চেতনার কেন্দ্র ১৯৭১। এটাই আমাদের মূল ভিত্তি। সংবাদ মাধ্যমগুলো আমার কথা বললে ঠিক আছে, আমার কথা না বললে ঠিক নেই, এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র চর্চার বিষয়। গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে জনগণের উপর আস্থা রাখতে হবে। আমরা জ্ঞানত কখনো দেশের বিরুদ্ধে চিন্তা করিনি। তবে আমার কথা বলতে ভয় হয়, এ জন্যে যে আমার কথা কাট করে সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরএ/টিএ