দেশের খ্যাতনামা ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান।
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় প্রধান বিচারপতি বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, জাতি হারিয়েছে এক প্রাজ্ঞ আইনবিদকে। প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
রোববার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক (৭৯)। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে আসেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় ফেরেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন।
যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তখন দলটির আমির শফিকুর রহমান এক বার্তায় বলেছিলেন, তার পদত্যাগে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। পদত্যাগ করা যেকোনো সদস্যের স্বীকৃত অধিকার। আমরা দোয়া করি তিনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমরা আশা করি তার সঙ্গে আমাদের মহব্বতের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
এরপর তিনি নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে বিমানবন্দরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি একজন আইনজীবী। আমি কোর্ট রুম ব্যারিস্টার। আমি আইনের অঙ্গনে আমার অবদান রাখার চেষ্টা করব। আইনের শাসন একটি অতি বড় জিনিস। দেশে যদি আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে আমাদের রাজনীতি সফল হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। সুতরাং আইন অঙ্গনে আমার বিচারণ, আইন অঙ্গনে আমি থাকব। আইন অঙ্গনের মাধ্যমে আমি দেশ ও জাতির খেদমত করার চেষ্টা করব।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশসেরা ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলা ও জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের প্রধান আইনজীবীর দায়িত্বে ছিলেন।
আরএ/টিএ