জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন একজন সফল ও প্রাজ্ঞ মানুষ, যিনি ছোটবেলা থেকেই ইসলামের অনুসারী ছিলেন এবং তা ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে বাস্তবভাবে অনুসরণ করেছেন।
সোমবার (৫ মে) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে যোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার রাজ্জাকের তৃতীয় জানাজা। সেখানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাহের আরও বলেন, তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানী ও স্বচ্ছ চরিত্রের মানুষ, কোরআনের উপর যার গভীর জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য ছিল।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
ক্রন্দন কণ্ঠে তাহের বলেন, আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করি, তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। তিনি অত্যন্ত উদার, অমায়িক, আদর্শ অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
জানাজাপূর্ব বক্তব্যে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, বিচার ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অবাধ বিচরণ ছিলেন। বাবা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন।
তিনি দীর্ঘ ১১ বছর দেশে ছিলেন না, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে আসেন। অসুস্থ স্বত্বেও তিনে কোর্টে আসতেন। ওনার কথাবার্তা ও ব্যবহারে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা করে দেবেন। আর কেউ যদি দেনাপাওনা থাকে তাহলে বলবেন পরিশোধ করে দেবো।
নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেম ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম।
আরএ/টিএ