স্থল-জল-আকাশপথে রণ সাজে সেজে উঠেছে ভারত। প্রতিদিন চলছে মহড়া। যা দেখে হাঁটু কাঁপছে পাকিস্তানের। এদিকে লাইন অব কন্ট্রোল বরাবর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পাকিস্তানও। তবে হঠাৎই ৪ দিনের মধ্যেই যুদ্ধ লাগার কথা উঠল কেন?
এবার কি সত্যি সত্যি শুরু হবে যুদ্ধ? পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সকলেই হুঙ্কার দিয়ে জানিয়েছে যোগ্য জবাব পাবেই পাকিস্তান। যুদ্ধ-জিগির চলছেই। এবার কি সত্যিই যুদ্ধ লাগতে চলেছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে? ভারত সরকারের একের পর এক পদক্ষেপ এবং পাকিস্তানের ক্রমাগত গোঁয়ারতুমি দেখে তেমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
স্থল-জল-আকাশপথে রণ সাজে সেজে উঠেছে ভারত। প্রতিদিন চলছে মহড়া। যা দেখে হাঁটু কাঁপছে পাকিস্তানের। এদিকে লাইন অব কন্ট্রোল বরাবর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পাকিস্তানও। তবে হঠাৎই ৪ দিনের মধ্যেই যুদ্ধ লাগার কথা উঠল কেন?
আসলে ৭ মে থেকে গোটা দেশে প্রত্যেকে রাজ্যকে মকড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মকড্রিল, অর্থাৎ সত্যিকারের যুদ্ধ লাগলে কী করবেন, তারই হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ। বিশেষ করে সাধারণ মানুষকে আপতকালীন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা মকড্রিল করে শেখাতে বলা হয়েছে।
সেই মতো মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় মকড্রিল। স্কুল, থেকে ডাল লেক চলছে মহড়া। যুদ্ধ লাগলে, হঠাৎ আকাশপথে হামলা হলে কী করে নিরাপদ জায়গায় যাবেন, চলছে তারই প্র্যাকটিস। তাতেই বেড়েছে ৪ দিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার জল্পনা। কেন?
উত্তর পেতে গেলে ফিরে যেতে হয় আজ থেকে ৫৪ বছর আগে। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে শেষবার এই ধরনের মকড্রিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ড্রিল পরিচালনার মাত্র চার দিন পরেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সেই বার নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একটি মক ড্রিলের আয়োজন করা হয় এবং ৩ ডিসেম্বর শুরু হয় যুদ্ধ।
এখানেই শেষ নয়। কারণ আছে আরও। যে কোনও মুহূর্তে যে ভারত হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানে। এই ভয়ে কাঁপছে তাঁরা। সম্প্রতি সেই ভয় প্রকাশ পেয়েছে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন হাই কমিশনের কথাতেও। প্রাক্তন হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত এক বিবৃতিতে বলেন, ভারত সম্ভবত রাশিয়ার বিজয় দিবসের পরেই ১০-১১ মে পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে পারে।
রাশিয়া ৯ মে বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে। প্রধানমন্ত্রী মোদীরও এতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার আবহে এই সফরে তিনি যাবেন কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। ৭ মে দেশের ২৪৪টি জেলায় মক ড্রিলের আয়োজন করা হবে। যুদ্ধের সময় কী ভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে তার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইরেনও বাজানো হবে। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবার এমন ঘটবে।
প্রসঙ্গত, মক ড্রিলের আগে, বিমান বাহিনী উত্তর প্রদেশের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে একটি অনুশীলন মহড়া পরিচালনা করেছে। বায়ুসেনা তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। গত শুক্রবার, বিমান বাহিনী এক্সপ্রেসওয়েতে দুটি পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব সামরিক মহড়া পরিচালনা করে।
টিকে/টিএ