বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) খুলনা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। বুধবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে এই অভিযান। এ সময় আব্বাস আলী নামে এক দালালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিআরটিএ-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দীন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. শামীম রেজা ও মো. আশিকুর রহমান।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র বলেন, অভিযোগ ছিল খুলনা বিআরটিএ অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য এবং বহিরাগত একটি শ্রেণির সঙ্গে অফিসিয়াল লোকজনের যোগাযোগ আছে। সেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখার জন্য আজ সকাল থেকে অফিসের আশপাশে সাদা পোশাকে নিজেদের মতো রেকি করেছি এবং জানার চেষ্টা করেছি কারা জড়িত। এখানে কয়েকজন দালাল আমাদের কাছে সরাসরি টাকা চেয়েছেন। এখানে আনসার সদস্যরাও মিডিয়া হিসেবে কাজ করে। তিনজন আনসার সদস্য রয়েছে, এর মধ্যে একজন প্রাচীর টপকে চলে গেছেন। এখানে আব্বাস আলী নামে এক দালালকে ধরা হয়েছে, তাকে ১৫ দিনের জেল দিয়েছেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি বলেন, অফিসে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করা অনেকেই রয়েছেন তাদের ইন্সট্রাক্টরকে সোপার্দ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে এখানে টাকা-পয়সা লেনদেনের সিস্টেম জেনে গেছে।
বিআরটিএ অফিসের নানা অনিয়ম চোখে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে একটি লার্নারের ফি ৭০০ টাকা। অথচ দুই-তিনগুণ বেশি টাকা নিচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকজনকে পেয়েছি যাদের ছয় থেকে সাত বছর ধরে ঘোরানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে দুই-তিনজনকে দ্রুত সেবা প্রদানে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, অফিসে এসে বিআরটিএ-এর সহকারী পরিচালককে অনুপস্থিত পেয়েছি। শুনেছি তিনি গত রোববার থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। কেন অনুপস্থিত রয়েছেন সেই বিষয়েও আমরা জানতে চেয়েছি।
এফপি/টিএ