গত ১৬ বছর ধরে দেশে ধারাবাহিকভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও কাউকে না কাউকে হত্যা করা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার (৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যারা ডাকাতের গ্রামে পরিণত করেছিল, তাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় আর কখনোই গ্রহণ করবে না।”
দেশের আদর্শ পরিবর্তনের নামে একাধিক দফায় গণহত্যা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, “শাপলা চত্বরে দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারের কারণে দিগন্ত টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ইসলামিক টিভিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটি ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যেসব গণমাধ্যমকে অন্যায়ভাবে বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো পুনরায় চালু করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। শাপলা চত্বরে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেটি কোনো ‘অপারেশন সিকিউর’ ছিল না, বরং ‘অপারেশন কিলিং’ ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতারা এখনো পার পেয়ে যাচ্ছে।”
বিবৃতির শেষদিকে ড. শফিকুল বলেন, “বাংলাদেশে সংগঠিত প্রতিটি গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ফিরে যাওয়া উচিত নয়। গাছ কাটার বিরুদ্ধে যারা টকশোতে অশ্রু ঝরাত, তারা আলেমদের রক্ত ঝরার সময় নীরব থেকেছে। এদের উদ্দেশ্য ছিল মানবিক নয়, বরং একটি পাশবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।”
এসএস