পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে। পাকিস্তানের মতে, তারা ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’-এর আওতায় ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জালন্ধরের আদমপুরে মোতায়েন এস-৪০০ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে ধ্বংস করেছে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, দেশটির বিমান বাহিনী (PAF) হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করে, এটি জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়। উল্লেখ্য, ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক এস-৪০০ ‘ত্রায়মুফ’ সিস্টেমটি প্রায় ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারে ক্রয় করে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একসঙ্গে বহু লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম এবং এর রেডার ৬০০ কিমি দূরের লক্ষ্যও ধরতে পারে।
ভারত বর্তমানে এই এস-৪০০ সিস্টেমের তিনটি স্কোয়াড্রন পাঞ্জাব, সিকিম এবং রাজস্থান-গুজরাট সীমান্তে মোতায়েন করেছে। বাকি দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহ ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
পাকিস্তানি সূত্র আরও দাবি করেছে, ভারতের বিয়াসে অবস্থিত ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র গুদামঘরেও আঘাত হানা হয়েছে এবং তা ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়াও উদমপুর, আদমপুর, সুরতগড় ও পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিগুলোতেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলায় পাকিস্তানের ব্যবহৃত ‘ফাতাহ-২’ মিসাইল সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।
এই দাবিগুলোর সত্যতা নিয়ে এখনো ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে সামরিক বিশ্লেষকেরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন।
এসএস/এসএন