পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ শনিবার (১০ মে) এক টিভি সাক্ষাৎকারে জানান, ভারতের উপর সাম্প্রতিক সামরিক হামলার পর পারমাণবিক অস্ত্র তত্ত্বাবধানকারী ‘ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি’-এর সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী এই কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তবে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
স্থানীয় টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আসিফ বলেন, ‘আপনি যে বিষয়টি (পারমাণবিক) তুলেছেন, তা থাকলেও আমরা এখন আলোচনা করবো না।
এটা অনেক দূরের একটি বিষয়। আমরা যেন এটাকে এই মুহূর্তে আলোচনার বিষয় না বানাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সংঘাতে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষকেই ভুল এড়াতে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন ও উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান তিনি।
ফোনালাপের পর এস. জয়শঙ্কর সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বলেন, ‘ভারতের অবস্থান সবসময়ই পরিমিত ও দায়িত্বশীল এবং সেটিই থাকবে।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘ভারত যদি এখানেই থামে, তাহলে আমরাও এখানেই থামার চিন্তা করবো।’
এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় গত বুধবার (৭ মে), যখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোর’ ওপর ভারতীয় বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। তারা অভিযানটির নাম দেয় ‘অপারেশন সিঁদুর’।
এর জবাবে পাকিস্তান শনিবার সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস’ চালায়।
১৯৯৯ সালের পর এটিই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষেই বহু প্রাণহানি হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জি৭ গোষ্ঠী দুই দেশকেই সংঘর্ষ প্রশমন ও উত্তেজনা কমাতে আহ্বান জানিয়েছে।
এসএম/এসএন