গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১০ মে) বিকেলের দিকে উপজেলা গেট সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচির সময় হঠাৎ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চৌমাথা মোড়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। প্রথমে তারা দরজা, জানালার গ্রিল, চেয়ার-টেবিলসহ ভেতরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, এরপর সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি জুবায়ের হোসেন, পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা আবু তালেব মাস্টার, উপজেলা যুব জামায়াত সভাপতি শামীম হাসান, শিবির নেতা জুয়েল রানা (পশ্চিম), আল ইমরান (পূর্ব), পৌর সভাপতি আব্দুল্লাহ রুবেল এবং জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা শেখ।
নেতারা বলেন, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের আর এ দেশে থাকার অধিকার নেই। দলটিকে দ্রুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি তারা ফ্যাসিবাদী অপশক্তিদের গ্রেফতার এবং জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিও জানান। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমাথা মোড়ে এসে শেষ হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন।
আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন আন্দোলনকারীরা। জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা শেখ বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে উত্তেজিত কিছু ছাত্র-জনতা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
আরআর