ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে বরাবর হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা আসছে পাকিস্তান। অন্তত গত ৩-৪ দশকে ভারতের উন্নতি, স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত ঘটাতে জঙ্গিরাই হাতিয়ার পাকিস্তানের। অথচ প্রকাশ্যে সেটা কোনওকালেইও স্বীকার করে না পাক সেনা বা সরকার। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর ভুলবশত হলেও সেই ‘ধ্রুবসত্যি’টা মেনে নিল পাক সেনা। প্রকাশ্যে পাক নৌসেনার সহকারী প্রধান ঔরঙ্গজেব চৌধুরী স্বীকার করলেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার নেপথ্যেও হাত ছিল পাক সেনার।
পাক নৌসেনার সহকারী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ঔরঙ্গজেব চৌধুরী প্রকাশ্যে বলে দিলেন, “আমাদের কৌশলগত দক্ষতার নমুনা আমরা ওদের (ভারতকে) পুলওয়ামাতেও দেখিয়েছি।” ঔরঙ্গজেব চৌধুরী গত কয়েকদিনের লড়াইয়ে পাক সেনার তথাকথিত প্রত্যাঘাতের বীরগাথা শোনাচ্ছিলেন। তখনই তিনি বলে বসেন, “আমরা পুলওয়ামাতেও নিজেদের কৌশলগত দক্ষতা দেখিয়েছি। এবারও ক্ষমতা দেখিয়ে দিলাম। আমার মনে হয়, এবার ভারতের লুকিয়ে পড়া উচিত।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন সেনা জওয়ান। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)। ৬ বছর পরেও টাটকা পুলওয়ামা হামলার দগদগে স্মৃতি। ওই হামলার সঙ্গে যুক্ত সব জঙ্গির এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি।
টিকে/টিএ