ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আশরাফ সিদ্দিকী বিটুসহ তিনজনকে রমনা মডেল থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিটুর একজন আইনজীবী বলেন, মামলার মূল নথি না থাকায় জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়নি। নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে। আদালত তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন সরকার ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নেছার আহম্মেদ।
শনিবার বিকালে রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে বিটুকে গ্রেপ্তারের তথ্য এক বার্তায় জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তার সঙ্গে কৃষক নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তারকেও গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।তবে তাদের গ্রেপ্তারের স্থান এবং সুনির্দিষ্ট কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি তিনি।
বিটুর সঙ্গে মোশাররফ ও নেছারকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রোববার গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এসআই আমির হামজা। তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের অখণ্ডতা, সংহতি ও সার্বভৌমত্ব ‘বিপন্ন’ করার মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ‘আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেওয়ার’ জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিরা রমনা পার্কের ভেতরে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বৈঠক করে।
এসময় অভিযান পরিচালনা করে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অজ্ঞাতনামা আসামিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এমআর/টিএ